‘পার্বত্য অঞ্চলকে আধুনিক শিক্ষা নগরীতে পরিণত করা হবে’

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলকে আধুনিক শিক্ষা নগরীতে পরিণত করা হবে। দেশের এক দশমাংশ পার্বত্য অঞ্চল পর্যটন শিল্পের জন্য দেশের একটি অন্যতম ও আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিগণিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য বোঝা নয়, বরং দেশের জন্য অন্যতম সম্পদশালী এলাকায় রূপান্তরিত হবে।

বুধবার রাজধানীর বেইলী রোড শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্প বা স্কিমের নভেম্বর-২০২৩ মাসের মাসিক উন্নয়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। পরে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাহাদুর উশৈসিং আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের কোনো মধ্যস্থতা ছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে দুই যুগের অশান্ত সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়েছেন। কোনো বন্দুক দিয়ে নয়, মারামারি বা কাটাকাটির মধ্যে দিয়ে নয়, সম্পূর্ণ সুন্দর ও আন্তরিক পরিবেশের মাধ্যমে ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি বা পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়। সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার কারণেই ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুলাই তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, উদ্বাস্তু পুনর্বাসন টাস্ক ফোর্স,  পার্বত্য তিন জেলা পরিষদ গঠন করা হয়। সেই সুবাদে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি আন্তরিক পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার কারণে আমরা এ অঞ্চলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করতে পেরেছি। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান তিন জেলার সংযোগ সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থাকে সুগম করেছি। 

মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বান্দরবানের দুর্গম উপজেলা থানচিতে সেখানকার মানুষের টানে ছুটে গিয়েছেন। থানচির মানুষের সাথে একাত্ম হয়ে কথা বলেছেন, তাদের সুখ দুঃখ সম্পর্কে জেনেছেন। তিনি পার্বত্য জেলার সেখানকার দুর্গম এলাকার সমস্যাগুলো একে একে সমাধান করেছেন। যেখানে একসময় বান্দরবান জেলার সদর থেকে থানচিতে যেতে ২-৩ দিন সময় লেগে যেতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে এখন তা তিন চার ঘন্টায় যাওয়া সম্ভব হয়েছে। সেখানে সুন্দর সুন্দর রাস্তা হয়েছে, হাসপাতাল হয়েছে, স্কুল-কলেজ হয়েছে, মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে গেছে। দুর্গম এলাকার যেখানে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব নয়, সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এখন সেখানে বিদ্যুৎবিহীন কোনো এলাকা খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেখানকার সাধারণ মানুষ অনায়াসেই রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারছে। 

তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করার জন্য সেখানকার মানুষ ভোট দেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। পার্বত্য নগরীকে সর্বোচ্চ আধুনিকভাবে গড়ে তোলার কাজে নিবেদিত রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্যরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিয়ষক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য মো. জসীম উদ্দিন, উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, বান্দরবান জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহাম্মদ মাসুম বিল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা - dainik shiksha শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি - dainik shiksha পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি - dainik shiksha দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস - dainik shiksha ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা - dainik shiksha রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না - dainik shiksha শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে - dainik shiksha ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040719509124756