‘প্রথমে দেখাল হাইকোর্ট, পরে অ*স্ত্রে*র ব্যবহার’

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেছেন, সরকার তাদের বারবার হাইকোর্ট দেখাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের ওপর দায় চাপিয়ে টিকতে না পেরে শেষ অস্ত্র ব্যবহার করেছে।  তিনি বলেন, তাদের এক দফার আন্দোলন চলবে। আগামীতেও শিক্ষার্থীরা রাজপথে থাকবেন। সোমবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। 

আব্দুল কাদের : আমরা কোনো হামলা করিনি। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছি। আমাদের একটি দল মিছিল নিয়ে হলপাড়ার দিকে গিয়েছিল। আগেও গেছে, আজ নতুন ছিল না। কিন্তু সেখানে ছাত্রলীগ হামলা করে। এতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। আমরা প্রক্টর স্যারকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু তিনি কোনো রেসপন্স করেননি। এরপর ছাত্রলীগ মেডিকেলে চার দফা হামলা করে শিক্ষার্থীদের ওপর। প্রক্টর চাইলে এ হামলা এড়াতে পারতেন। 

এমনকি শহীদুল্লাহ্‌ হলে হামলার সময় হাউস টিউটররা পর্যন্ত বলছেন, প্রক্টরকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এই প্রক্টরের পদত্যাগ চাই। 

প্রশ্ন: আপনারা রাজাকার শব্দে কেন গেলেন?

আব্দুল কাদের : রাজাকার রাজাকার শব্দটি শিক্ষার্থীরা শ্লেষাত্মক হিসেবে ব্যবহার করেছে। এটা ক্ষোভের জায়গা থেকে বলেছে। একই সঙ্গে তারা বলেছে, ‘আমি কে, তুমি কে, রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে, কে বলেছে, সরকার, সরকার’। 

প্রশ্ন: আপনারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার চান কেন? 

আব্দুল কাদের : আমাদের দুটি দাবি ছিল। একটা হচ্ছে– সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটা সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে। আরেকটি ছিল– প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার। আমরা সঠিক জায়গায়ই আছি। 

প্রশ্ন: হামলার পরে আপনাদের আন্দোলনের ছন্দপতন ঘটল কিনা? 

আব্দুল কাদের : আমাদের আন্দোলনের মোড় ঠিকঠাক আছে। এক দফা দাবিতে আমরা অটল আছি। আমাদের আন্দোলন চলবে। আগামীতেও শিক্ষার্থীরা রাজপথে থাকবেন। এটা শিক্ষার্থীদের অধিকার, এ দাবি যৌক্তিক। 

প্রশ্ন: এ হামলাকে কীভাবে দেখেন? 

আব্দুল কাদের : সরকার সুযোগ খুঁজছিল। সরকার থেকে বারবার বলা হয়েছিল তারা হামলা করবে, প্রতিহত করবে। সরকার আমাদের বারবার হাইকোর্ট দেখাচ্ছিল। যখন আংশিক রায়ে হাইকোর্ট কোটা পরিবর্তন-পরিবর্ধন সরকারের দায়িত্ব বলে উল্লেখ করলেন, তখন সরকার আন্দোলনকে স্যাবোটাজ করার জন্য হামলা করল। তারা হেলমেট বাহিনী লাগিয়ে দিল। সরকার হাইকোর্টের ওপর দায় চাপিয়ে টিকতে না পেরে শেষ অস্ত্র ব্যবহার করেছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0059809684753418