ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ থেকে নৌকার প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় আসনটি জাপার প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তিকে ছেড়ে দিতে হয়। একই দিনে মারা যান তার ভাই আব্দুল লতিফ আকন্দও। দুই দুঃসংবাদে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত মেনে নেন আব্দুল হাই। সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান এবং কর্মীদের বিচলিত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এরপর গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন আব্দুল হাই আকন্দ ও তার মেয়ে জান্নাতুল নাঈমা আকন্দ জানা।
দলীয় প্রধানের সঙ্গে কি কথা হয়েছে তা জানতে চাইলে আব্দুল হাই বলেন, ‘আমার আসনে জাতীয় পার্টির যে প্রার্থীর কাছে নৌকা ছেড়ে দিতে হলো তার কুকর্মের ফিরিস্তি দিয়ে গিযেছিলাম নেত্রীর কাছে। আমাকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ওদের বাড়াবাড়ির জন্য আমার লোকগুলোই আমি রাখতে পারলাম না। বলেছেন, একটু ধৈর্য্য ধরেন আমি দেখবো আপনাকে।’
আব্দুল হাই আরো বলেন, ‘নেত্রী যে এই সময়ে এতো চাপের মধ্যে আমাকে সময় দিয়েছেন এতেই আমি খুব খুশি। নেত্রীর আশ্বাসে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমার মেয়ের সঙ্গে অনেক সুন্দর আচরণ করেছেন নেত্রী। মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন। আমার মেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নুজান হল ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাকালীন একটি ম্যাগাজিন বের করেছিল সেটি নেত্রীকে উপহার দিয়েছে।’
আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, সংবাদ সম্মেলনে নেত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগতকে জানিয়েছি। এর বেশি দরকার ছিলো না। কিন্তু কর্মী-সমর্থকরা যাতে মনোক্ষুণ্ন না হয় সেজন্য করেছিলাম। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানতে পেরেছিলেন।