জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ‘বর্তমানে বিদেশি প্রেশার কাজ করছে। আমরা তাকিয়ে আছি, অন্যান্য রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে। এই রকম সুযোগে সবাই যদি মিলেমিশে কিছু করতে পারে তাহলে দেশের মানুষ উদ্ধার হবে।’
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সেখানে তাঁকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
জিএম কাদের বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে সামনের দিকে দেশের মানুষের হাতে রাজনীতি থাকবে না। রাজনৈতিক দলও থাকবে না। একটি দল এবং তাদের একটি নেতা চিরস্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার উপক্রম হবে। যদি এইভাবে নির্বাচন হয় এবং বর্তমান সরকারই ক্ষমতায় আসে তাহলে এটাই বাস্তবায়ন হবে। এ জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির জন্য বড় ধরনের একটা পরীক্ষা।
জিএম কাদের আরও বলেন, এ সরকারের আমলে মানুষের কোনো রকম অধিকার নেই। মানুষের ভোটাধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। প্রেস ফ্রিডম অর্থাৎ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। মানুষের ভাত-কাপড়ের নিরাপত্তা নেই। সংবিধান অনুযায়ী মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা সরকার এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব, সেগুলোর ব্যাপারে কোনো ধরনের ব্যবস্থা করা হয়নি।
এবারের বাজেট জনকল্যাণমুখী নয় উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটের পর সাধারণ মানুষের দুরবস্থা বাড়বে। অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, এটা আরও বাড়বে। দেশের মানুষ একটা অজানা অনিশ্চিত বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন গতি অন্যদিকে প্রতিদিন মানুষের আয় কমছে। কিন্তু সরকার বাজেটে এ বিষয়ে কোনো রকম পদক্ষেপ নেয়নি। মানুষকে বাঁচাতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কথা, সরকার তা দেয়নি। যতটুকু দিয়েছে তা যৎসামান্য। এর মধ্যে পেনশনের টাকার কথা বলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের পাঁচ দিনের এই সফরে রংপুরে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করবেন। ঈদের তৃতীয় দিনে (১ জুলাই) তাঁর নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাটে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। পরের দিন রোববার (২ জুলাই) তিনি রংপুর হয়ে ঢাকায় ফিরে যাবেন।