বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি বা বুলিংয়ের মতো ঘটনার অভিযোগ পাওয়ামাত্র ত্বরিতগতিতে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীর সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে। এমনটাই মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার আলাপকালে এই অধ্যাপক আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যখন তার পরিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন, তার শিক্ষাদানের সঙ্গে নিরাপত্তা প্রদানও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। আমরা দেখছি, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই দায়িত্বের চরম ব্যত্যয় ঘটছে, যা কাম্য নয়। কর্তৃপক্ষকে মনে করতে হবে, প্রতিটি শিক্ষার্থীই আমার সন্তান। ওরা এ দেশের নাগরিক। জনগণের করের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চলে। বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বলব, শিক্ষার্থীর পরিবার প্রদত্ত টিউশন ফিসহ ইত্যাদির অর্থে চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়। তা হলে কেন ওই শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে না কর্তৃপক্ষ?
মুহাম্মদ আলমগীর আরো বলেন, আমরা গণমাধ্যমের খবরে দেখছি- অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শাখায় দেন। কিন্তু এগুলোকে পাত্তা দেন না কতিপয় দায়িত্বশীলরা। যা অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পরিপন্থি। আমি বলব, এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে। যখন কোনো অভিযোগ আসবে, সেটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল পদে থাকবেন, তাদেরও জবাবদিহিতায় আনতে হবে। অভিযোগ আছে, ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করলে তার প্রতি বিরূপ আচরণ বা নিপীড়ন আরো বেড়ে যায়।
সংবেদনশীল ও মানবিক বাংলাদেশ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান ইউজিসির এই সদস্য।