ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার জন্য দেশের অন্যান্য জেলার মতো তালিকা তৈরি হচ্ছে দক্ষিণের জনপদ ঝালকাঠিতেও। উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়ে চলছে এ তালিকার কাজ। তবে অভিযোগ উঠেছে একটি চক্র সরকারি এ সহযোগিতা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে অর্থ দাবি করছে।
আর এমন দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নলছিটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান সেলিম। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো পরিবারের কাছে কেউ সহায়তা দিবে বলে অর্থ দাবি করলে আমাকে সরাসরি ফোন দিবেন, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দৈনিক আমাদের বার্তার প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে নলছিটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহযোগিতা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে অর্থ দাবি করার বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। তাই সবাইকে সতর্ক করতেই সাংবাদিকদের সহায়তা চেয়েছি।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের দেয়া প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় রেমালে জেলায় ২৫ হাজার ৫৭৩টি ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় দুই হাজার বসতঘর। গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের দুই শতাধিক খুঁটি ভেঙে যায়। পানিতে তলিয়ে ৬ হাজার ১৯০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ২৫১ হেক্টর জমির ২ হাজার ৭০টি পুকুর ও ১৫৯ টি মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে জেলায় এক লাখ ৩৮ হাজার ১৫৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।