‘শিক্ষার পরিকল্পনা মাঝপথে থমকে দাঁড়ায়, আবার নতুন করে হয়’

খুবি প্রতিনিধি |

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, ব্যাপক প্রত্যাশা সামনে নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো। কিন্তু এখনো বহুক্ষেত্রে সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক কৌশলগত পরিকল্পনা গৃহীত হলেও মাঝপথে তা থমকে দাঁড়ায়, আবার নতুন করে পরিকল্পনা হয়। ফলে সামগ্রিকভাবে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ক্যারিশমেটিক এবং ভিশনারি লিডার। তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরপরই দেশের উন্নয়নে নানামুখী পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনে তিনি শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ড. কুদরত ই খুদার নেতৃত্বে গঠিত শিক্ষা কমিশন সুপারিশ দিয়েছিলো। পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত না হলে ওই শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হতো। তাহলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আজ ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হতো, জাতির প্রত্যাশা পূরণ হতো।

সোমবার সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) আয়োজিত ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি স্ট্র্যাটেজি (এনআইএস) শীর্ষক এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ১১৮ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

ড. মুহাম্মদ আলমগীর আরও বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে, দিকনির্দেশনা দিতে হবে। সমাজের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। বৈশ্বিক পরিবর্তনের ধারায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার যুগোপযোগিতা নিরূপণ করে তা ধারণ ও আত্মস্থ করে নিজেদের পরিবর্তন ঘটাতে না পারলে, খাপ খাওয়াতে না পারলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না। 

দেশ, জনগণ ও সমাজের প্রত্যাশা পূরণে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য শিক্ষক সমাজকে দেশের প্রত্যাশা পূরণে নেতৃত্বে দিতে হবে। তিনি শিক্ষকদের অনুকরণীয় শিক্ষক হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষায় এখনও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন, অনেক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন দরকার। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ইউজিসির অনেক ভালো সুপারিশও বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, ফলাফল প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রারম্ভেই শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে মূল্যবান একটি বছর পার হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই প্রবণতা চলে আসলেও তা নিরসনে এখনও পর্যন্ত কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি - dainik shiksha আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ - dainik shiksha শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার - dainik shiksha মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ - dainik shiksha শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন - dainik shiksha অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053279399871826