বর্তমান সংবিধান বাংলাদেশের স্বপ্নের নতুন যুগের জন্য উপযুক্ত নয় বলে মনে করে সংস্কার সংঘ। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, পুরনো-ত্যাজ্য যুগ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ একটি স্বপ্নের নতুন যুগে এগিয়ে যেতে চায়। তাই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে সংবিধানকে সংস্কার করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবিধান সংস্থার যাত্রা সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে- শিরোনামে এক সেমিনারের আয়োজন করেন সংস্কার সংঘ।
সেমিনারে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ডক্টর আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, বাংলাদেশ একটি নতুন রাজনৈতিক যুগের স্বপ্ন দেখছে। একটি দুঃস্বপ্নের যুগ পেরিয়ে এসেছে এই দেশ। এই দুই যুগের মাঝে এখন বাংলাদেশ। একে বলে ক্রান্তিকাল (ট্রানজিশনাল পিরিয়ড)। পুরনো-ত্যাজ্য যুগ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ একটি স্বপ্নের নতুন যুগে এগিয়ে যেতে চায়। তাই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে সংবিধানকে সংস্কার করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি বিজ্ঞানী ডক্টর তারেক ফজল বলেন, অগ্রসর জাতি গঠনে সেরা মানুষ হিসেবে জনগণকে 'গড়ে তোলার' ক্ষেত্রে এই গঠনতন্ত্রে কিছু ঘোষণা-নীতি-নির্দেশনার উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। জ্ঞান, অপরের কল্যাণ ও মানবীয় শ্রেষ্ঠত্বের গুণে সজ্জিত ব্যক্তি গড়তে উদ্যোগী হবে রাষ্ট্র। এমন ব্যক্তিদের সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রশাসন সম্মান, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাবে। সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রশাসন নির্বিশেষে শিক্ষকের সম্মান-মর্যাদা সমুন্নত রাখতে উদ্যোগী হবে।
ভোগ-বিত্ত-প্রতিপত্তিকে 'সম্মান, সফলতা ও শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি' মানা নয়, বরং সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রশাসন এসবে নিরুৎসাহিত করতে মনোযোগী হবে। সমাজ-রাষ্ট্র-প্রশাসন 'সব বাসিন্দার' আহারের ব্যবস্থা করবে। সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রশাসন ব্যক্তির নাগরিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা রক্ষায় মনোযোগী থাকবে। 'জন বস্তুগত কল্যাণের অলাভজনক, অবাণিজ্যিক, অপেশাদার ও অবেতনভোগী যৌথ প্রচেষ্টাই রাজনীতি'। 'রাজনীতি' বিষয়ে এমন 'কাঙ্ক্ষিত দৃষ্টিভঙ্গি' গড়ে তোলায় সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রশাসন মনোযোগী থাকবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ডক্টর আবদুল ওয়াহিদ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ডক্টর আব্দুল লতিফ মাসুম। সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞানী ডক্টর তারেক ফজল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন ডক্টর আসমা সিদ্দিকা। শাবিপ্রবির রাজনীতি বিজ্ঞানী ডক্টর এম নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য আলোচকরা।