‘সেবক’ নামে আসছে নতুন পেনশন কর্মসূচি

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

রাষ্ট্রায়ত্ত–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আরো দুটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম আসছে। একটি সরকারি কর্মচারীদের জন্য, আপাতত যেটির নাম রাখা হয়েছে ‘সেবক’। আরেকটি কর্মসূচি রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত বা সমজাতীয় সংস্থাগুলোর জন্য। এর নাম ‘প্রত্যয়’। প্রত্যয় চালু করার যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ। আর সেবক চালুর কাজ শুরু হয়নি এখনো। এটি চালু হবে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে।

আগামী ১ জুলাই থেকে চালু হতে যাওয়া ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচিতে বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত হবেন রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও সরকারি ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সব কমিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারী প্রত্যয়ের আওতাভুক্ত হবেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত ৬ জুন বাজেট বক্তব্যে সরকারি চাকরিতে নতুন নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতাভুক্ত করার ঘোষণা দেন। প্রগতি, সমতা, প্রবাস ও সুরক্ষা—এই চার কর্মসূচি নিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু হয় গত বছরের ১৭ আগস্ট। ১৩ জুন পর্যন্ত এসব কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে।

পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় খুব কমসংখ্যক স্বশাসিত বা সমজাতীয় সংস্থায় পেনশন কর্মসূচি চালু আছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই সিপিএফ ব্যবস্থা প্রযোজ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি সংস্থার ব্যতিক্রম উদাহরণ ছাড়া এ ব্যবস্থায় চাকরি শেষে পেনশন পান না কেউ, পান এককালীন আনুতোষিক।

প্রত্যয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা—এই দুইয়ের মধ্যে যেটা কম, তা তাদের বেতন থেকে কাটা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দেবে। এরপর উভয় অর্থ জমা হবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কাছে। যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি আছে, তারা আগ্রহী হলে প্রত্যয় কর্মসূচির আওতায় আসতে পারবেন। আবার ১০ বছর চাকরি থাকা বিদ্যমান চাকরিজীবীরা বিদ্যমান ব্যবস্থায়ও থেকে যেতে পারবেন।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আবেদনের যোগ্যতা নেই তবু শিক্ষক - dainik shiksha আবেদনের যোগ্যতা নেই তবু শিক্ষক শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে - dainik shiksha শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে হা*তুড়ি পেটা - dainik shiksha কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে হা*তুড়ি পেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএমজিএসে মাস্টার্স করার সুযোগ - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএমজিএসে মাস্টার্স করার সুযোগ সাত কলেজে চূড়ান্ত ধাপের বিষয় বরাদ্দ ৩ অক্টোবর - dainik shiksha সাত কলেজে চূড়ান্ত ধাপের বিষয় বরাদ্দ ৩ অক্টোবর প্রধান শিক্ষককে তাড়িয়ে চেয়ারে বসলো ছাত্র! - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে তাড়িয়ে চেয়ারে বসলো ছাত্র! সেন্ট যোসেফে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি আবেদন শুরু - dainik shiksha সেন্ট যোসেফে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি আবেদন শুরু দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031847953796387