‘স্বাধীনতার ৫২ বছরে মাতৃভূমি বাংলাদেশে দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট ও অর্থ পাচারকারীরা বেপরোয়া। বিমানের অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি ও আকাশচুম্বী হজ প্যাকেজ ঘোষণা দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য হজে যাওয়া কঠিন করা হয়েছে। মুসলিম প্রধান দেশে হজ পালন করতে ভর্তুকি দিয়ে সহযোগিতা করা জনদাবি হলেও সরকার তা না করে হজযাত্রীদের উপর অবাস্তব খরচের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।’
বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে একটি রেস্তোরায় ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ আয়োজিত ‘হজের অস্বাভাবিক ব্যয় নির্ধারণ : বাংলাদেশের হজ যাত্রার ভবিষ্যৎ কোনপথে?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে এসব অভিযোগ করেন বক্তারা।
পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবিরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ইমতিয়াজ আলম, হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, ইসলামী বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহ্বায়ক প্রকৌশলী আবদুল হান্নান আল হাদী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদ, ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সহ সভাপতি দীপু সারোয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক শেখ মামুনুর রশীদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল খলিলুর রহমান ও জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দীন সিরাজ।
সিনিয়র সাংবাদিক শেখ মামুনুর রশীদ বলেন, দিন দিন যেভাবে খরচ বাড়ছে তাতে দেশের সাধারণ মুসলমানরা হজ পালন করতে পারবেন না। কালো টাকার মালিক, ঘুষ খোর এবং দূনীতিবাজরাই ভবিষ্যতে হজ পালন করতে যাবে। তাই হজের খরচ যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে হবে।