ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। বিকেলে উপজেলা প্রশাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। আর পায়রা নদী তীরবর্তী এলাকার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র প্রভাবে সকাল থেকে মির্জাগঞ্জে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীর পানি বাড়ছে বলে জানান নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মেন্দিয়াবাদ, হাজিখালী, রানীপুর,পিঁপড়া খালী, সুন্দ্রা,রামপুর এলাকা ও সদর ইউনিয়নের পায়রা নদী তীরবর্তী এলাকার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে নদীতে জোয়ারের পানির চাপ বাড়লে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রানীপুর এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন বলেন, দেউলী সুবিদখালী আমাদের ইউনিয়নের হাজিখালী, মেন্দিবাদসহ কয়েকটি এলাকার বেড়িবাঁধের একাধিক পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। বাঁধা মেরামতের কাজ চলমান আছে। ঝড়ের সময়ে এ ইউনিয়ন বেশি প্লাবিত হয়। ঘূর্ণিঝড় সিডরের ভয়াবহতা ভুলতে পারেনি এ এলাকার মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. সাইয়েমা হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান,ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ৫৮টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে।