২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ২৬ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে প্রধান শিক্ষক পদ বাগানো রাজধানীর আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাজমা বেগমের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নাজমা বেগমের দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তসহ কয়েক দফা দাবি জানান। এসব দাবি পূরণে ২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থীরা এসব দাবিতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেনে।
আরো পড়ুন: ২৬ লাখ টাকা নিলামে আন্দময়ী স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ!
এর আগে দৈনিক শিক্ষাডটকমে ‘২৬ লাখ টাকা নিলামে আন্দময়ী স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ!’ এই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, নাজমার নিয়োগে প্রধান শিক্ষক পদ নিয়ে রীতিমতো নিলাম হয়েছে। পরে ২৬ লাখ টাকায় নিলাম করে এ নিয়োগের বিষয়টি রফা করা হয়েছে। নাম মাত্র পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। মোকলেছুর নামের একজন পরীক্ষা দেয়া থেকে বিরত থেকেছেন।
অভিভাবকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগের পাশের সরকারি স্কুল থেকে ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয়া হয়নি। পাশের সরকারি প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে দূরের প্রতিষ্ঠান (কলেজিয়েট স্কুল) থেকে এ নিয়োগে ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। নিকটবর্তী স্কুল থেকে ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়ার বিধান আছে বলে দাবি করেন তারা। অভিযোগকারীরা স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ কার্যক্রম চালানোর দাবি জানিয়েছেন। আজ ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। দরকষাকষি চলছে। টেনেটুনে তিন বছর সহকারী প্রধান ছিলেন এমন একজন নারীকে এই পদে বসানোর জন্য আয়োজন প্রায় শেষ। চারটি নোট-গাইড কোম্পানি থেকে প্রতি বছর ১৫-২০ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন প্রধান শিক্ষক।
নিয়োগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে দৈনিক শিক্ষাডটকম। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সা’দ আহমদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার কোতায়ালী থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারহানা শাহীন লিপি দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এ নিয়োগে টাকা লেনদেনের বিষয়টি এখনই শুনলাম। এ বিষয়ে আমাকে কেউ জানাননি।
দূরের প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়নে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু পাশের স্কুল থেকে ডিজির প্রতিনিধি দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ঢাকার যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিজির প্রতিনিধি দেয়া যেতে পারে।