সিটি করপোরেশনের পরিচালনাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্ধিত ভর্তি ফি ও বেতন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
বুধবার সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এই দাবি জানানো হয়। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরাও অংশ নেন।
বেলা ১১টায় শহীদ মিনারে সমাবেশ এবং পরে সিটি করপোরেশন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষোভকারীরা। কর্মসূচি চলাকালে মোমিন রোড এলাকা থেকে আন্দরকিল্লা পর্যন্ত যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অবস্থান কর্মসূচি চলে। পরে দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে।
শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস, ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সত্যজিৎ বিশ্বাস, নগর সভাপতি তাজ নাহার, সাধারণ সম্পাদক আরিফ মঈন উদ্দিন, মুক্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা অবিলম্বে বর্ধিত ভর্তি ফি ও বেতন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, শিক্ষা মানুষের অধিকার। কিন্তু সিটি করপোরেশনের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় দ্বিগুণ হারে ভর্তি ফি এবং বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে অনেকের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হবে। তাঁরা বলেন, শিক্ষা ব্যয় কম হওয়ায় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ভরসা ছিল সিটি করপোরেশনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু বর্ধিত ফির কারণে এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন হুমকিতে পড়েছে।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে একজন অভিভাবক বলেন, ‘সিটি করপোরেশন যদি বেসরকারি স্কুল-কলেজের মতো বেতন এবং ভর্তি ফি নির্ধারণ করে তাহলে আমাদের সন্তানেরা যাবে কোথায়। প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে ফি। এর প্রতিবাদে এখানে এসেছি।’
সিটি করপোরেশনের অধীনে ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৮টি কলেজ এবং ৬টি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ৯০ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। সম্প্রতি সিটি করপোরেশন ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি ফি ২ হাজার ৫৫০ টাকা, নবম ও দশম শ্রেণির ভর্তি ফি ২ হাজার ৭৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে। মাসিক বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৫০, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে ১৬০ এবং নবম ও দশম শ্রেণিতে ২০০ টাকা, যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ বলে অভিযোগ উঠেছে।