মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক কালজয়ী পদক্ষেপ সরকারি কলেজবিহীন উপজেলায় একটি কলেজকে জাতীয়করণ করা। এ ঘোষণার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে আনন্দের সুবাতাস বইছে। জাতীয়করণের লক্ষ্যে উক্ত কলেজসমূহের তালিকা প্রণীত হয় প্রায় দেড় বছর আগে।
তালিকা প্রণয়নের সময় থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সকল কলেজের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখেন। তালিকাভুক্ত কতিপয় কলেজ রয়েছে যেগুলোতে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে নিয়োগ স্থগিত করেছে মাউশি অধিদপ্তর।
ঐ সব প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময় নিয়োগ স্থগিত থাকার কারণে অনেক বিষয়ে পদ শুন্য হয়ে যাচ্ছে। কর্মচারি পদও শুন্য হচ্ছে। যাতে প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিনিয়তই জনবল সংকটে পড়ছে। নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে ডিড অফ গিফ্ট সম্পন্ন হওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহ কোন তহবিল হতে টাকাও খরচ করতে পারছে না।
যার ফলে উক্ত কলেজে উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছে না। প্রয়োজনীয় আসবাব ও যন্ত্রাদি কিনতে পারছে না। এ অবস্থায় উক্ত কলেজসমূহে পড়াশুনার মানের ধারাবাহিকতা বজায়ের লক্ষ্যে দ্রুত জিও জারি করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহৎ উদ্যোগকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করে সাধারণ মানুষকে আরো উচ্ছ্বসিত করবে বলে আশা করি।
মো. ফারুখ হোসেন: আহ্বায়ক, জাতীয়করণ তালিকাভুক্ত কলেজ শিক্ষক পরিষদ(জাকশিপ)।