কয়েকদিন আগে একটি জাতীয় দৈনিকে জানতে পারলাম, মেডিক্যাল কলেজের আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্ব্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে নেওয়া হবে। যেখানে এক নম্বরের জন্য সিরিয়াল আট থেকে দশ হাজার পেছনে চলে যায় সেখানে পাঁচ নম্বর কম! ভাবাই যায় না, সিরিয়াল কত পেছনে চলে যাবে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর যে সংখ্যক শিক্ষার্থী এইচএসসি পাস করে বের হয়, আসন সংকটের কারণে প্রথম চেষ্টাতেই তারা সবাই উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় না। ফলে তাদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়। মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা তিন হাজার দুই শ ১২ টি। প্রতিবার ৭০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সবার চান্স পাওয়া সম্ভব হয় না এবং তাদেরই কিছু অংশ দ্বিতীয়বার মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা দেয়। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হঠকারী সিদ্ধান্তে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা আর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের ধরনে রয়েছে অনেক পার্থক্য। যার কারণে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনাটাও খুব ক্ষীণ হয়ে যায়। আর অনেকের পক্ষে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে টাকার অভাবে পড়ার সুযোগ হয় না। ফলে তাদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা অধরাই থেকে যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি তাদের সিদ্ধান্ত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার এক বছর আগে জানিয়ে দিত তবে অনেক ভালো হতো। তখন শিক্ষার্থীরা সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করত। তাই আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মটা এ বছর চালু না করে আগামী বছর থেকে চালু করবেন।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়