সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা সংশোধনের লক্ষ্যে একটি খসড়া তালিকা প্রস্তুত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে বর্তমান বদলি নীতিমালায় থাকা একাধিক বিষয় বাদ ও পরিবর্তনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ খসড়া নীতিমালার ওপর মতামত ও পরামর্শ সংগ্রহের জন্য ১৫ দিন সময় দিয়ে নীতিমালাটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এসব কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে খসড়া নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে বলে অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছে।
গত ২৬শে অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় খসড়া নীতিমালা চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে মতামত ও পরামর্শের বিষয়টির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনস্বার্থে যে কোন শিক্ষককে যে যেকোন সময় জনস্বার্থে বদলির নিয়মটি বিলুপ্তির প্রস্তাব রাখা হয়েছে নতুন এ খসড়া নীতিমালায়।
এছাড়া জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের মধ্যে যারা নিজ উপজেলায়র বাইরে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের নিজ উপজেলা বা থানায় বদলি হতে চাইলে বদলির সুযোগ ছিল না। নতুন এ খসড়া বাস্তবায়ন হলে তারা বদলি হতে পারবেন।
কোন শিক্ষকের বৈবাহিক সূত্রে যদি স্বামী বা স্ত্রীর বাড়ি জেলা সদর উপজেলায় হয় তাহলে তিনি সেখানে চাইলে বদলি হতে পারবেন মর্মে প্রস্তাব রাখা হয় যার আগে কোন সুযোগ ছিল না।
নতুন এ খসড়া অনুযায়ী দুর্গম এলাকার শিক্ষকদের জন্য সুখবর রয়েছে। কোন শিক্ষক দুর্গম এলাকায় যেমন হাওড়-বাওড়, চর কিংবা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ অঞ্চলের একই বিদ্যালয়ে ৫ বছর কর্মরত থাকলে (যা পুরাতন নীতিমালা অনুযায়ী ছিল ১০ বছর) ওই শিক্ষককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শূন্যপদ থাকা সাপেক্ষে একই উপজেলার কোন সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে বদলি করা যাবে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী। তবে এক্ষেত্রে বাওড় শব্দটি বাতিলেরও প্রস্তাব রাখা হয়।
এরকম নীতিমালার আরও অনেক বিষয়ে সংশোধনী আনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।