বাগেরহাটের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। জেলার ১ হাজার ৬৮৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কতটি শহীদ মিনার আছে বা কতটিতে নেই সে তথ্যও নেই জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দপ্তর গুলোতে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভাষা শহীদদের স্মরন করতে পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরী করা হবে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। তেমন একটি শরণখোলা উপজেলার দক্ষিন খুড়িয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মনিরা আক্তার বলেন আমাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। প্রতিবছর আমরা কলা গাছ ও কাদা মাটি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করি।
অনুরুপ কচুয়া উপজেলার টেংরাখালী হোসাইনিয়া আলিম মাদরাসায় নেই শহীদ মিনার। এরকম ই অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার।
টেংরাখালী হোসাইনিয়া আলিম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহেসিন উদ্দিন জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নেই। প্রতি ভছর নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করি। তবে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার তৈরি করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এধরণের অবস্থা জেলার বেশিরভাগই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে জানান যায়, জেলায় ১১‘শ৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩‘শ ২৩টি মাধ্যমিক ১‘শ ৬৫টি মাদরাসা ও ৪৯ কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে কলেজ গুলোতে শহীদ মিনার থাকলেও প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসা গুলোতে শহীদ মিনার নেই। প্রতি বছর কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেও স্মরণ করেন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার সমাদ্দার বলেন, কতটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে আমার জানা নেই। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে কিছু বিদ্যালয়ে শহীদ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মান করা হবে।
জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম যে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। তবে আমার কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে আলোচনা করে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে শহীদ মিনার করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ শাহিন হোসেন, আমাদের কাছে ও কোন তথ্য নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।