প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদের বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শাখা এ নির্দেশ প্রদান করে।
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ এর ১৮ ধারা এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৭ অনুযায়ী স্কুলে ভর্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুসহ মোট ১৭টি ক্ষেত্রে বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়।
কিন্তু আইন ও বিধিমালাকে তোয়াক্কা না করে কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সময় বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ করা হয় না। এর ফলে পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা অন্য কোন শিক্ষক সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বয়স পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থী এবং ক্ষেত্র বিশেষে অভিভাবকদের পরামর্শ প্রদান এমনকি প্ররোচনা করে থাকেন। এসব কর্মকান্ড বেআইনী ও নৈতিকতা বিবর্জিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুরুপ অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের বয়স বাড়ানো বা কমানোর জন্য বিভিন্ন অসাধু পন্থায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিসকে অনুরোধ এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে থাকেন। এক্ষেত্রে নানা অসুবিধায় পড়তে হয় নিবন্ধন অফিসকে।
এজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অধীনে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে সেসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় জন্ম নিবন্ধন সনদের বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষার্থীদের বয়স পরিবর্তনে অনৈতিক পরামর্শ বা প্ররোচনা প্রদানে বিরত থাকার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।