শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী বাজেটে শিক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাবো। শিক্ষার জন্য যেখানে যা কিছু করণীয়, ব্যয়ের যতটুকু সুযোগ রয়েছে তার সর্বোচ্চটুকু দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার। বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘আগামী বাজেট ও শিক্ষাখাত: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারেও শিক্ষার মানোন্নয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। সে অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে যে আর্থিক বিনিয়োগ প্রয়োজন, সেদিকেও বর্তমান সরকার সমানভাবে মনযোগী।
তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে এখন যে পরিমাণ বরাদ্দ পাচ্ছি টাকার হিসাবে তা কম নয়। কিন্তু, সমগ্র বাজেটের অংশ হিসাবে দেখলে তা ১০ ভাগের কম। জিডিপির ২ ভাগ। গত ১০ বছরে শিক্ষা খাতে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। এ অগ্রগতির ভিতের উপর দাঁড়িয়েই আমাদের আগামী দিনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, জিডিপির ৪ শতাংশ শিক্ষায় দেয়া হবে। বিভিন্ন উন্নত দেশের শিক্ষা খাতের ব্যয় দেখলেও তা ৪ শতাংশের বেশি দেখা যায়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার মান বাড়াতে হলে শিক্ষকের মান বাড়াতে হবে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন-ভাতা দিতে হবে। সর্বোপরি মানুষ হিসেবে অযোগ্য কোনো ব্যক্তিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া যাবে না। সম্প্রতি নুসরাতের ঘটনায় অযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার খেসারত দিয়েছি।