ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এ কে এম রেজাউল করিম রতনকে গ্রেফতার করেছে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা পুলিশ। শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাজারিবাগ মধুবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রেজাউল করিম রতন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা। দুই বছর আগে তিনি পদোন্নতি পেয়ে সরকারের উপসচিব হন। শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষক থাকাকালে তিনি মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের (সাবেক কমার্শিয়াল কলেজ) অধ্যক্ষ ছিলেন। ওই সময়ে তিনি তার এক ছাত্রীকে কোকের মধ্যে নেশা জাতীয় খাবার খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
হাজারিবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম আলী মিয়া জানান, গত ৭ অক্টোবর এক ভুক্তভোগী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা করেন। গ্রেফতার রেজাউল আজও (শনিবার) ভুক্তভোগীর বাসায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সংবাদ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওই নারীর অভিযোগ, গত ১ অক্টোবর ধর্ষণের চেষ্টা চালান উপ-সচিব এ কে এম রেজাউল করিম। বাধা দিলে মারধর ও হাত ভেঙে দেন তিনি। ৭ অক্টোবর তিনি হাজারীবাগ থানায় ধর্ষণচেষ্টা মামলা করেন। এর আগেও জোরপূর্বক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা ও নির্যাতন চালানোর অভিযোগে রেজাউল করিমের নামে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জুলাই ধানমন্ডি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়। এছাড়া ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ২ জুন গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
এর আগে, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল থাকা অবস্থায় এক ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে কোমল পানীয় খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন এ কে এম রেজাউল করিম রতন। সেই ঘটনা ভিডিও করেন তিনি। পরে ইন্টারনেটে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে এক বছর ধরে ধর্ষণ করেছেন তিনি।