মাদারীপুরের টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান গোপাল বালাসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীরা ইউএনও বরাবর যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছে ৩৮ ছাত্রীর।
জানা যায়, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান গোপাল বালাসহ দুই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছে। মানসম্মানের ভয়ে ছাত্রীরা এতদিন মুখ খোলেনি। এদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ওই প্রতিষ্ঠানের ৩৮ ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারী একাধিক ছাত্রী জানায়, গোপাল স্যার আমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণির ইংরেজি এবং সমাজ ক্লাস নেন। তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে তিনি বিভিন্ন ভয় দেখান। গোপাল স্যার, অধ্যক্ষ মোকলেছুর রহমান স্যার এবং মিহির স্যার আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগ দেয়ায় গোপাল স্যার আমাদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন এবং পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকিও দিচ্ছেন। এ কারণে আমাদের লেখাপড়া হুমকির মুখে। অভিযুক্ত সহকারী লাইব্রেরিয়ান গোপাল বালা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল এসব করছে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোকলেছুর রহমান জানান, প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে একে-অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে এসব হচ্ছে। আর এ অভিযোগের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেখবেন। রাজৈর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ননী গোপাল জানান, টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ছাত্রীদের একটি অভিযোগ ইউএনওর মাধ্যমে পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ মুহূর্তে আর কিছু বলা সম্ভব না। রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন জানান, ছাত্রীদের অভিযোগ পেয়েছি। ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।