দুই পিকআপে ঢাকা থেকে টাকা গেছে চট্টগ্রামের দিকে!

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার দুই দিন পর দুই পিকআপ ভর্তি টাকা গেছে চট্টগ্রামের দিকে! গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই টাকা কোথায় গেছে, কার টাকা, এখন কী অবস্থায় আছে- সব কিছু উদঘাটনের চেষ্টা করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। রোববার (৬ অক্টোবর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন আবুল খায়ের।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জানা গেছে, অবৈধ টাকা রাখার জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, দুর্নীতি, মাদক, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতা। কয়েক শত কোটি টাকা নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। সূত্র জানায়, উল্লিখিত দুই পিকআপ ভর্তি টাকা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া কিংবা এমন এক নেতার হতে পারে যার নামের আদ্যক্ষর ‘স’। গোয়েন্দারাও এমনটি ধারণা করছেন। সম্প্রতি অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া ও ‘স’ আদ্যক্ষরের ঐ নেতার টাকা সবচেয়ে বেশি।

হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ায় দুর্নীতিবাজ নেতারা এখন বেকায়দায়। এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে এটা তাদের ধারণাতেই ছিল না। তাই অনেকে বস্তায় ভরে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে। সম্প্রতি একজন প্রকৌশলী কয়েক বস্তা টাকা তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখতে যান। কিন্তু ঐ আত্মীয় রাখতে রাজি হননি।

রাজনীতির নামে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, পেশিশক্তির প্রয়োগসহ যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় চলছে শুদ্ধি অভিযান। এ অভিযানের ফলে দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম করে দলের ইমেজ ক্ষুণ্নকারী নেতাকর্মীরা আছেন ‘দৌড়ের ওপর’। দুই বছর আগে থেকেই বিতর্কিতদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। দুর্নীতি করলে কেউ যে ছাড় পাবেন না, এমনকি আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কোনো নেতা, শীর্ষ আমলা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পরিবহন নেতারাও যে অভিযানের বাইরে নেই, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গডফাদারের নাম চলে এসেছে। গ্রেফতারকৃতরা অনেক আমলা, মন্ত্রী, এমপি, প্রভাবশালী রাজনীতিক এমনকি কিছু ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নামও বলেছেন, নাম এসেছে প্রভাবশালী অনেক সাংবাদিকের; যারা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে অবৈধ উপায়ে কাড়ি কাড়ি টাকা বানিয়েছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন।

সূত্র জানায়, দুর্নীতিবাজরা সিংহভাগ টাকা পাচার করেছেন ব্যাংককে অবস্থানকারী চট্টগ্রামের শাহীন চৌধুরী নামের হুন্ডি ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারির মাধ্যমে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এই নাম। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণির কর্মকর্তা শাহীন চৌধুরীর মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। শুধু এই সরকারের আমলে নয়, বিগত সরকারের আমলেও একই কায়দায় শাহীন চৌধুরীর মাধ্যমে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও আবুধাবিতে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এ ধরনের তথ্যও বেরিয়ে আসছে। উল্লেখ্য, ব্যাংককের একটি ব্যাংকে শাহীন চৌধুরীর জন্য একটি আলাদা ডেস্ক রয়েছে এই হুন্ডি ব্যবসার জন্য।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029089450836182