ভোলায় ধর্ষণে অভিযুক্ত দু’জন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। এ নিয়ে প্রথমে স্বস্তির কথা জানালেও ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী শিশু মেয়ের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভেঙে পড়েছেন বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই শিশুকে।
শিশুর বাবা ও ফুপাতো ভাই বলেন, ভোলা হাসপাতাল থেকে ডাক্তাররা বরিশাল পাঠায়। বুধবার ভোরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশনের পর শিশুটির অবস্থা আরও অবনতি হতে থাকে। ওই অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকায় পাঠান শেবাচিম হাসপাতালের ডাক্তাররা। কিন্তু বরিশাল থেকে ঢাকায় পৌঁছতে দীর্ঘ সময় লাগায় ভোর ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তার চিকিৎসা চলছে।
ঈদের আগের রাতে রোববার বাড়ির পাশের গণপূর্ত বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর মো. মাফুজের স্ত্রী লিজা বেগমের কাছে হাতে মেহেদির নক্সা আঁকতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই বাড়ির কাচারি ঘরের ভাড়াটে আলামিন ও মনজুর আলম মুহুরীসহ কয়েকজন শিশুকে ধরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে।