শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি শিগগির পূর্ণাঙ্গ করা হবে। এ লক্ষ্যে গত বুধবার শেকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সেলে কমিটির খসড়া জমা দিয়েছেন। তথ্যটি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. আহসান হাবীব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ নভেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক বছর মেয়াদি ১৪ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর এক মাসের মধ্যেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কথা ছিল। কিন্তু বছর পেরিয়ে কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও পূর্ণাঙ্গ করা হয়নি। আংশিক কমিটির ১৪ জনের মধ্যে আটজন বিভিন্ন চাকরিতে যোগ দিলে অনেকটাই অচল হয়ে পড়ে শাখাটি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সময় ও শ্রম দিতে থাকা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়।
কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে—এমন খবরে আশার আলো দেখছে কর্মীরা। যারা দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের জন্য শ্রম দিয়েছে, তারাই যেন ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পায়—এমন প্রত্যাশা কর্মীদের। সেই সঙ্গে ভর্তি জালিয়াতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িতরা যাতে পদ না পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু এমন কর্মীও আছে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিতে জড়িত। জালিয়াতচক্রের অডিও প্রকাশ হলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
এ বিষয়ে শেকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও শেকৃবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।