যে সব চা বাগানে প্রাথমিক স্কুল নেই, সে সব বাগানে স্কুল করা হবে। এ ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেছেন, সরকার চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। ইতোমধ্যে চা শ্রমিকদের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেছেন, চা শিল্পের উন্নয়নে চোরাই পথে ভারত থেকে চা-পাতা আসা বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় পা-পাতা আসা বন্ধে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন তিনি।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর চা-বাগানের নাচঘরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পাঁয়রা উড়িয়ে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব, বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান এম. শাহ আলম, শ্রম অধিদপ্তরের শ্রীমঙ্গল শাখার উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ইনডিজিনাস এন্ড ট্রাইবাল পিপলস প্রজেক্ট এর ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আলেক্সসিউস চিছাম, কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশেকুল হক, কমলগঞ্জ পৌর মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রেমসাগর হাজরা, টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব রেজা চৌধুরী প্রমুখ।