দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়কারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) ব্যানবেইসে সততা স্টোরের উদ্বোধন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে, তা ফেরত দিতে হবে। নইলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে সকল সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথেষ্ট আন্তরিক ও সক্রিয় রয়েছে।
তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অনৈতিক কার্যক্রম অনেকটা স্তিমিত হয়েছে। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা পড়া-শুনায় মনোনিবেশ করুক।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে হলে দক্ষ মানবসম্পদের কোনো বিকল্প নেই। আর দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে হলে মানসম্মত শিক্ষার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদিও পরিণত বয়স্ক নাগরিক, তারপরও তারা যদি স্ব-স্ব দপ্তরে এভাবে সততার চর্চা করেন, তাহলে তাদের নৈতিক মূল্যবোধ আরও শানিত ও পরিশীলিত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন দেশের প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা সংঘের পাশাপাশি সততা স্টোর স্থাপন করার চেষ্ঠা করছে। ইতিমধ্যেই যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা সংঘ গঠন করা হয়েছে, এর প্রত্যেকটিতেই সততা স্টোর স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি সততা স্টোর স্থাপনে কমিশন থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা দেয়া হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান স্ব-প্রণোদিত হয়ে সততা স্টোর স্থাপন করছে।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ মনজুর হোসেন বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, দুদকের উদ্যোগে যেসব সততা স্টোর গঠন করা হয়েছে, সেগুলোতে কোনো আর্থিক নয়-ছয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এটি একটি আশার আলো।
শিক্ষা সচিব বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও এমপিও বাতিল করা হবে। নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থাও।
তিনি বলেন, দুদকের সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজের সু-সমন্বয় রয়েছে। আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।