বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গফরগাঁও উপজেলা শাখার নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী এএইচএম আশাদ নয়ন বাদী হয়ে গফরগাঁও সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় নির্বাচন পরিচালার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা, নির্বাচিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত দরখাস্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীদেরকে নির্বাচিত কমিটিকে অনুমোদনের বিষয়ে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক সমিতি ১০ জুন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিলে প্রথমে ভোট গ্রহণের দিন ১৯-০৭-২০১৯ তারিখ উল্লেখ করলেও পরে কোনো পূর্ণ তফসিল না দিয়ে ০২-০৮-২০১৯ ইং তারিখে ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচন কমিশন ২৯-০৬-২০১৯ ইং তারিখের ০৬ নম্বর স্মারকে সংশোধিত বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে। এতে প্রার্থী তালিকায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন এবং অন্যান্য পদে ৩ জন করে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। এর আগে নির্বাচন কমিশন ২৯-০৬-২০১৯ইং তারিখে ০৪ নম্বর স্মারকে যে বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ছাড়া অন্য কোনো পদে দু’জনের বেশি প্রার্থী ছিল না।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনের নিয়ম থাকলেও গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি। এছাড়াও নির্বাচনে প্রার্থী তালিকার সঙ্গে ফলাফলের তালিকায় গড়মিল রয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে গফরগাঁও উপজেলা শাখার মোট ভোটার সংখ্যা ৭৬২ জন। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সংখ্যা ছিল ৭১২ জন।
নির্বাচনে ফলাফলে যুগ্ম সম্পাদক পদে তিনজন (মহিলা) প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়েছে মনজিলা আক্তারকে ৩৮০, সানজিদা আফরোজ ৩৮০ এবং সানজিদা জাহান ৩৫ ভোট, যা মোট ভোটার সংখ্যার চেয়ে ৩৪ ভোট বেশি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বাবুল সরকার জানান, আদালতের নির্দেশনার কাগজ এখনও আমারা হাতে পাইনি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।