২১ আগস্ট ২০১৯ বুধবার ‘সিরডাপ মিলনায়তনে’ এক বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মীর শাহাদাত বরণ ও অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হওয়ার ঘটনাকে ‘নিছক দুর্ঘটনা’ বলায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিটিএ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. কাওছার আলী শেখের সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নুরুন্নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জামিল মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোস্তফা জামান খান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হেনা রাণী রায়, পাঠাগার সম্পাদক অশোক কান্তি গুহ, সহ দপ্তর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাহমিদা রহমান, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম প্রমুখ শিক্ষক নেতারা।
বক্তারা বলেন- ১৫ ও ২১ আগস্ট বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে দু’টি কলঙ্কজনক অধ্যায় ও হৃদয় বিদারক ঘটনা। শোকাবহ এ দিন দু’টিতে সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা যখন নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশসহ রুহের মাগফেরাত কমনায় ব্যস্ত তখন দায়িত্বশীল পদে থেকে বেদনাদায়ক ঘটনা দুটিকে ‘নিছক দুর্ঘটনা’ বলে পরিহাস করা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই এহেন বক্তব্যে সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা অত্যন্ত মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ।
নেতারা মনে করেন- প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখনও ‘শিক্ষা ও শিক্ষক স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ লিপ্ত রয়েছেন। এদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে ১৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনার মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও জনমনে হালকা করে তুলবেন এবং জাতিকে পিছিয়ে নেবার জন্য কুটকৌশলে লিপ্ত হবেন।