ঝালকাঠি কে এ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোনো রেজুলেশন ছাড়াই কয়েক লাখ টাকার ১০টি গাছ বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়ক সংস্কারে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে এবং বিদ্যালয়ের বেঞ্চ তৈরির কারণ দেখিয়ে এসব গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। বন বিভাগ ও বরিশাল আঞ্চলিক মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালকের অনুমতি ছাড়াই গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে। পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হওয়ায় এর প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পাচ্ছে না। গতকাল বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল বিশাল পুরনো গাছ কেটে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি গাছের গোড়া খুঁড়ে উঠিয়ে গর্ত মাটি ফেলে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারেক হাওলাদার জানান, বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের কাজ শুরু হবে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের কিছু আসবাব তৈরির জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। গাছ কাটার এ সিদ্ধান্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় রেজুলেশন করে নেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, বেসরকারি বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে বন বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তবে বরিশাল মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালকের অনুমতি নিতে হয়, তা আমরা নিয়েছি। এ সময় রেজুলেশনের কপি ও উপ-পরিচালকের অনুমতি দেখতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এগুলো আমার কাছে নেই। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার খান বলেন, বিদ্যালয়ের চেয়ার-বেঞ্চ তৈরির জন্য পরিচালনা কমিটি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিষয়টি সদর উপজেলা ইউএনওকে জানানো হয়েছে। ইউএনও মো. আতাহার মিয়া জানান, আমি কয়েক দিন ঢাকায় ছিলাম। এ বিষয়ে কোনো রেজুলেশন পাঠানো হয়েছে কি-না তা না দেখে বলতে পারছি না। এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি বন বিভাগের সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম জানান, বেসরকারি বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে বন বিভাগের অনুমতি না লাগার তথ্য সঠিক নয়। যে কোনো গাছ কাটতে হলে বন বিভাগের অনুমতি ও পরিমাপ বাধ্যতামূলক। তবে আমাদের কাছে চেয়ারম্যান মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, এ বিদ্যালয়টি নির্বাচনী ভোটকেন্দ্র হওয়ায় যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণ কাজের জন্য দুটি গাছ কাটবেন।