নদীগর্ভে বিলীন হওয়া জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের দুটি বিদ্যালয়ের প্রায় ৭শ শিক্ষার্থী বাজারের শেডঘরে ক্লাস করছে। এছাড়া মাছের দুর্গন্ধ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ছাত্রছাত্রীদের। এ অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা জানান, স্থায়ীভাবে বিদ্যালয় স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
গত জুলাই মাসে বন্যায় জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার খোলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খোলাবাড়ী চর উচ্চ বিদ্যালয়ের স্থাপনাসহ খেলার মাঠ যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকেই বিদ্যালয় দুটির কার্যক্রম চলছে খোলাবাড়ী বাজারের পাশের দুটি শেড ঘরে। ভাঙন থেকে একটু দূরে খোলাবাড়ী বাজার। বাজারের পাশপাশি দুটি শেডঘর। তবে স্থান সংকুলান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনেকেই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারছে না।
শিক্ষার্থী জানান, এক রুমে ৩টি শ্রেণির ক্লাস চলছে। হৈচৈ এর জন্য মনোযোগ দেয়া যায় না। আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। টয়লেট বা টিউবওয়েল কোনো কিছুই নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমাদেরকে স্কুলের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দিতে।
বাজারের পাশে শেডঘর হওয়ায় চারপাশে হৈ চৈ আর জনসাধারণের চলাফেরায় লেখাপড়ার মনযোগ নষ্ট হচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
শিক্ষকরা বলেন, তাদের ভালোভাবে পড়ানো যাচ্ছে না। কথা শোনা যায় না বাইরের শব্দের কারণে।
জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা জানান, নতুন একটি জায়গা নিয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে বিদ্যালয় দুটি স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
এ প্রসঙ্গে জামালপুরের জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হেলিম ফকির বলেন, অচিরেই নতুন জায়গায় স্কুলটি স্থানান্তর করা হবে।
খোলাবাড়ীর চর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৪৪ ছাত্রছাত্রী ও খোলাবাড়ী-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৪৩ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে।