একবার নয়, পরপর দুইবার প্রধানমন্ত্রীর নাম ভুল বলায় জনতার তোপের মুখে পড়া সাতক্ষীরার শ্যামনগর গুমনতলি ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল মুহিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার সকালে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সাথে কেন তাকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সকালে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি একে ফজলুল হকের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে ৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি একে ফজলুল হক সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বলে সম্বোধন করে বক্তৃতা দেয়ায় অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মহিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) মাদরাসায় বর্তমান সরকার নির্মিত ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা দুর্যোগ প্রশমন ভবন অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে একবার নয়, পরপর দুইবার প্রধানমন্ত্রীর নাম ভুল বলায় জনতার তোপের মুখে পড়েন সাতক্ষীরার শ্যামনগর গুমনতলি ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল মুহিদ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে উঠেই পরপর দুইবার ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’ বলেন তিনি। মুহূর্তেই উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ঘোর প্রতিবাদ ওঠে। এক পর্যায়ে তারা মারমুখী হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত মাদরাসার অধ্যক্ষ ক্ষমা চেয়ে জনগণের তোপের মুখে অনুষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে যান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সংসদ সদস্য এ কে ফজলুল হক। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান, ওসি আনিসুর রহমান মোল্লাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া’ বলে তোপের মুখে পালালেন অধ্যক্ষ
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আনিসুর রহমান মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। শুনেছি অধ্যক্ষকে মাদরাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।