দেশের বিদ্যমান একাডেমিক কারিকুলাম শিক্ষার্থীকে চাকরির জন্য দক্ষ করতে পারে না বলে মনে করছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জের বিষয়টি মাথায় রেখে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রকৃত শিক্ষা ও ডিগ্রির জন্য শিক্ষার মধ্যে ব্যবধান কমাতে হবে।
গতকাল স্থানীয় একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বাংলাদেশ প্রয়োজনের নিরিখে ভবিষ্যত্ দক্ষতা’ শীর্ষক ঐ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর ১৮ থেকে ২০ লাখ নতুন মুখ চাকরি বাজারে প্রবেশ করছেন। তাদের মধ্যে মধ্যে ১৪ লাখ লোককে সরকারের বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় কলকারখানা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য কর্মযোগ্য করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি কামরান টি রহমান প্রমুখ।