ইউপি চেয়ারম্যানের পছন্দের প্রার্থীকে মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগ পদে না দেয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও তার বাহিনীর হাতে মারধোরের শিকার হয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে মহারাজপুর ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামে কয়রার উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল নিয়োগকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মাদরাসার নিয়োগ বোর্ডের ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কোনো শিক্ষককে নির্যাতন করা হয় তবে আমরা বসে থাকতে পারি না। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষকের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
এসময় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল অদুদ বলেন, অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ওপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা করা হয়েছে তা দেশের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের ওপর বিগত সময়ে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমার বিভাগের সহকর্মীর ওপর এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্তিত ছিলেন।