অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে বেরোবি কর্মচারীদের

বেরোবি প্রতিনিধি |

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) আন্দোলনের আড়াই মাসের মাথায় ফের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন কর্মচারীরা। পদোন্নতি নীতিমালা বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত হয়। 

সোমবার (২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মচারীরা। এর আগে, রোববার (২৩ জুন) অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ নামে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একটি সংগঠন।

তিন দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীবান্ধব পদোন্নতি নীতিমালা বাস্তবায়ন, ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও ১০ম গ্রেডপ্রাপ্ত ২৫ কর্মকর্তার পদমর্যাদা প্রদানসহ মাস্টার রোল কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এছাড়া, ‘বারবার কেন আন্দোলন’ শিরোনামে উপাচার্য বরাবর একটি খোলা চিঠিও দিয়েছেন তারা।

চিঠিতে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে বলা হয়েছে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিকষ্টে চাকরি করছি। কোনো রহস্যজনক কারণে কয়েকজনকে ৪৪ মাস যাবৎ বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি। ২৮৮ জনকে বকেয়া পরিশোধ করলেও ৫৮ জন কর্মচারীর বকেয়া পাওনা আছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে বক্তব্য দিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, ২৮৮ জনের বকেয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে মামলার কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। তাহলে, ৫৮ জনের ক্ষেত্রে কেন মামলার প্রশ্ন তোলা হলো? তাছাড়া, ওই ৫৮ জনের নামে কোনো মামলা নেই, তা আগেই চিঠির মাধ্যমে ইউজিসি’কে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। তাই, আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫৮ জনের বকেয়া আটকে রেখে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন। 

এ ব্যাপারে কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নূর আলম বলেন, রোববার (২৩ জুন) আমরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করলেও, সোমবার (২৪ জুন) থেকে আমরা দিনব্যাপী কর্মবিরতি ঘোষণা করেছি। উপাচার্য মহোদয় যদি আমাদের সঙ্গে দেখা না করেন, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

এ ব্যাপারে উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি রিসিভ ফোন ধরেননি। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024070739746094