অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : লেখক

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের পরে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে জুহুরুল হক হলের গেস্টরুম শেষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িতের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় এমনটিই জানিয়েছেন লেখক।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, শিবির সন্দেহে মারা হোক কিংবা যেভাবেই মারা হোক ছাত্রলীগ কারো গায়ে হাত তোলাকে সমর্থন করে না। এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত আছে তা জানতে আমরা সবাই নিয়ে বসবো। আমাদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জড়িতদের অপরাধের মাত্রার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের নিয়মিত গেস্টরুম চলছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুকিম চৌধুরীকে শিবির সন্দেহে গেস্টরুমে ডাকা হয়। সেখানে হল শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা তাদের অনুসারীদের দিয়ে মুকিমকে প্রথমে মানসিক চাপ দেয়। এতে স্বীকার না করায় তাকে লাঠি, স্টাম্প ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।

এদিকে মারধরের বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুকিম চৌধুরী। রাতে তাকে দেখতে আসেন হলের প্রভোস্ট। সেখানে সাংবাদিকরা মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলের আবাসিক শিক্ষকের বক্তব্য আপনাদের বক্তব্যের বিপরীত। সেখানে গন্ডগোল বা হইচই হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরে তা সমাধানের জন্য আবাসিক শিক্ষক সেখানে যান।
 
এছাড়া ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, গতকালের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তে আবাসিক শিক্ষক ড. মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘তাদেরকে কেউ নির্যাতন করেনি। হল প্রশাসন এবং প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় তাদেরকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে কিছু না পেলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে।’ বিস্তারিতভাবে জানতে হল প্রশাসনের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.013647079467773