অবৈধ গাইড বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে ধামরাইয়ের শিক্ষার্থীদের

ধামরাই প্রতিনিধি |

ঢাকার ধামরাইয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যামিক স্তরের শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কোম্পানির গাইড বই কিনতে বাধ্য করছেন শিক্ষকরা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নিম্মমানের গাইড বই সহায়ক পাঠ্যপুস্তুকের একটি তালিকা করে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন। আর অভিভাবকরা কষ্ট হলেও ওইসব গাইড বই তাদের ছেলে-মেয়েদের কিনে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

জানা গেছে, ধামরাইয়ের প্রায় ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে গঠিত হয়েছে শিক্ষক সমিতি। সমিতির সভাপতি হচ্ছেন খরারচর আবুল হোসেন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ আর সাধারণ সম্পাদক বেরশ শিবনাথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন। তারা প্রতি বছরের মতো সুবিধা পেয়ে কালামপুর ছাত্রবন্ধুর লাইব্রেরীর মালিক বাবুল হোসেনকে দুই কোম্পানির গাইড বই বিক্রির জন্য বলেন। বিনিময়ে ওই দুই কোম্পানির সাথে তাদের একটি গোপন চুক্তি হয়। তারা লাভবান হয়ে  শিক্ষার্থীদের হাতে এসব গাইড বইয়ের তালিকা তুলে দেন।

অভিভাবকরা জানান, সরকার বিনামূল্যে বাংলা ইংরেজী গণিত ব্যাকারণ ও বিজ্ঞাণসহ পাঠ্যসূচী অনুয়ারী সকল ধরনের বই জানুয়ারী মাসের প্রথমেই সকল শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিলেও বিদ্যালয় শিক্ষকদের  চাপে সহায়ক বই হিসেবে তা কিনতে বাধ্য হন শিক্ষার্থীরা। আর এসব গাইড বইগুলো কেনার জন্য শিক্ষকরাই লাইব্রেরীরর নাম পর্যন্ত বলে দিচ্ছে। সরকারের নিষিদ্ধ গাইড বইগুলো কিনে অভিভাবকরা হচ্ছেন সর্বশান্ত।

আব্দুস সোবহান নামে এক অভিভাবক জানান, এক মণ ধান বিক্রি করেও ছেলের গাইড বই কিনার টাকা হলো না। এখন সরকার বিনা মূল্যে বই দিলেও ছেলের চাপের মুখে কিনতে হচ্ছে গাইড বই। দ্রুত এ গাইড বই বিক্রির বন্ধের দাবি জানান তিনি।

সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, সরকারের নিষিদ্ধ গাইড বই থেকে আমি এ বছর বেরিয়ে এসেছি। আমি এগুলো করছি না। তবে সাধারণ সম্পাদক বেরশ শিবনাথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ওই বই সরবারাহকারী রিপন মাহমুদ ও ছাত্রবন্ধুর লাইব্রেরীর মালিক বাবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান।

এব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রবন্ধুর লাইব্রেরীর মালিক বাবুল হোসেন সংবাদটি প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমুন নাহার জানান, সরকারি ভাবে গাইড বই নিষিদ্ধ, তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক যদি কোন শিক্ষার্থীকে গাইড বই কেনার চাপ প্রয়োগ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044188499450684