ইফার ৬৩টি স্কুলই জরাজীর্ণ

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

চারপাশে বাঁশের চটার বেড়া, ওপরে টিনের ছাউনি। মেঝেতে পাটের চট বিছানো। ভাঙাচোরা ব্লাক বোর্ড। মাটির মেঝেতে শীতের সকালে এমনই ঘরে কেশবপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৩টি প্রাক-প্রাথমিক স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার পরও শিক্ষিকারা ঝরে পড়া রোধে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখে চলেছেন।

জানা গেছে, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বৃহৎ প্রকল্প। শিক্ষা বিস্তারের কাজে মসজিদের ইমামদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সরকার ১৯৯৩ সালে মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় প্রাক-প্রাথমিক ও ঝরে পড়া কিশোর-কিশোরী এবং অক্ষরজ্ঞানহীন বয়স্কদের জন্য মসজিদভিত্তক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে প্রকল্পের সফল বাস্তাবায়ন দেশের আপামর জনসাধারণকে নাড়া দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসলে তার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। সারাদেশের ন্যায় কেশবপুরেও এ প্রকল্পের আওতায় প্রাক-প্রাথমিক, সহজ কোরআন শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে চাহিদামতো শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ না করায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত ৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সরেজমিনে এ প্রকল্পের কয়েকটি প্রাক-প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শনকালে এ চিত্র ফুটে ওঠে।

উপজেলার আটন্ডা গ্রামের সোলাইমান হোসেনের বাড়িতে শিক্ষিকা রহিমা খাতুন প্রাক-প্রাথমিক স্কুলে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি নিজের তৈরি ঘরে শিক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাঠদান করান। ঘরটি টিনের ছাউনি হলেও মেঝে মাটির। চারপাশে বাঁশের চটার বেড়া। তিনি এর ওপর চট বিছায়ে শীতের সকালে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। তিনি আরবি, বাংলা, অংক ও ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করান। শিক্ষার্থী লাবিবা সুলতানা ঐশী, মরিয়াম খাতুন, তারিন জামান জেবা, আব্দুল আওয়ালসহ অধিকাংশ শিক্ষার্থী শীতে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে। একটি ব্লাক বোর্ড থাকলেও তা জ্বরাজীর্ণ। এরপরও ওই শিক্ষিকা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু ওই স্কুল নয় উপজেলার অধিকাংশ স্কুলের এ বেহাল দশা। এ ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কেশবপুর উপজেলা শাখার সুপারভাইজার আশিকুর রহমান বলেন, এ উপজেলায় ৬৩টি প্রাক-প্রাথমিক স্কুল, ৮৮টি সহজ কোরআন শিক্ষা ও একটি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকে সাড়ে ৪ বছর থেকে সাড়ে ৫ বছরের বাচ্চারা লেখাপড়া করে থাকে। ব্লাক বোর্ড নষ্টের কথা তিনি স্বীকার করে বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে প্রতিটি স্কুলের চাহিদাপত্র নিয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই এসব সমস্যার সমাধান হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027661323547363