বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক সুপারিশকৃতদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ এবং এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিস্বাক্ষর করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। এ আদেশ শুধু নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বিহীন অথবা এডহক কমিটি অথবা মামলাজনিত জটিলতায় থাকা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে। এর ফলে সুপারিশ পেয়েও যারা নিয়োগ পাচ্ছিলেন না বা নিয়োগ পেলেও এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না তাদের সামনে আর কোনো বাধা রইলো না।
রোববার (৮ই অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব সালমা জাহান স্বাক্ষরিত এক আদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই আদেশে জটিলতার অবসানের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এনটিআরসিএ কর্তৃক মনোনীত হয়েও যারা নিয়োগ বা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না তারা গত কয়েকমাস যাবত অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে আবেদন নিবেদন করেছেন। দৈনিক শিক্ষার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, মতামত লিখেছেন। অবশেষে গত আগস্ট মাসে এ সমস্ত শিক্ষকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান।
অধিদপ্তরের চিঠির আলোকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ আসে ৮ অক্টোবর। চিঠিতে বলা হয়: এডহক বা বিশেষ কমিটি অথবা কমিটিবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশকৃত শিক্ষকদের এমপিওর প্রস্তাবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রতিস্বাক্ষর করতে পারবেন।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, তবে পরবর্তিতে নিয়মিত কমিটি গঠিত হলে এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশকৃত ওই শিক্ষকদের নিয়োগ অবশ্যই নিয়মিত কমিটি কর্তৃক ভূতাপেক্ষভাবে অনুমোদন করাতে হবে। চিঠির কপি দৈনিকশিক্ষা কাছে রয়েছে।
১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে আবেদন নিয়ে মেধা তালিকা তৈরি করে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। কিন্তু শূন্য পদের ভুল তালিকা, ম্যানেজিং কমিটির জটিলতাসহ নানা কারণে সুপারিশ পাওয়া অনেকেই নিয়োগ পাননি। আবার অনেকেই নিয়োগ পেলেও এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। প্রায় দেড় বছর যাবত তারা ভোগান্তিতে ছিলেন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষকতার পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব এনটিআরসিএর। পিএসসির আদলে পরীক্ষা নেয়া শুরু করেছে এনটিআরসিএ। ত্রয়োদশ পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ হয়েছে নতুন নিয়মে। চতুদর্শ পরীক্ষার প্রিলিমিনারি রয়েছে। ফল প্রকাশের অপেক্ষায়।