এমপিও নীতিমালা সংশোধন: গ্রন্থাগারিকদের শিক্ষক মর্যাদা ও নানা কথার পরের কথা

অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী |

জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন কমিটির প্রথম সভা সামনে রেখে দুই পর্বে আমার কিছু প্রস্তাবনা দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত হয়। তাতে প্রভাষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনুপাত প্রথা, উচ্চতর বেতন গ্রেড, প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের অভিজ্ঞতা, মাধ্যমিক পর্যায়ে সিনিয়র সহকারি শিক্ষকের পদ সৃজন এবং নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমুহে কারিগরি শিক্ষক নিয়োগসহ নানা বিষয়ে আলোকপাত করি। আমার এ সংক্রান্ত দু' পর্বের লেখা পড়ে অনেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কেউ কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন। জনৈক  শিক্ষকবন্ধু শেষ লেখাটি পড়ে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন বলে মনে হয়েছে। দৈনিক শিক্ষার মতামত অপশনেও দেখলাম জনৈক শিক্ষক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের প্রতিক্রিয়া অন্য জায়গায়। আমি দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ নিয়ে লেখালেখি করি। এখন এমপিও নীতিমালা নিয়ে মাথা ঘামাই কেন? তাদের প্রশ্ন এই, আমি কি তাহলে সরকারিকরণের এক দফা এক দাবি থেকে পিছপা হয়ে পড়েছি? আমি তাদের সবিনয়ে জানাতে চাই-সরকারিকরণের দাবি থেকে এক পা পেছনে ফেরার সুযোগ নেই এ কারণে যে, শিক্ষার মানোন্নয়নে এর সকল স্তর বিশেষ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর সরকারিকরণের  কোন বিকল্প নেই। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটি লেখা সম্প্রতি দৈনিক শিক্ষায় পড়েছিলাম। তিনি অত্যন্ত জোরালো ভাষায় সরকারিকরণের পক্ষে তার অভিমত জানিয়েছেন।

ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে সে রকম বিশ্বাস মনে-প্রাণে ধারণ ও লালন করে থাকি। মানসম্মত শিক্ষার জন্য মানসম্মত শিক্ষক অপরিহার্য। স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ ব্যতিরেকে কোয়ালিটি শিক্ষক পাওয়া দুরূহ কাজ। আর কোয়ালিটি শিক্ষক না হলে কোয়ালিটি শিক্ষা আসমান থেকে আসবে না। এই উপলব্ধিটি এখন প্রায় সব মানুষের। আমাদের শিক্ষার মানের অধোগতির কারণে সকলে তা হাড়েহাড়ে অনুভব করতে শুরু করেছেন। তথাপি, যতদিন সব স্কুল কলেজ সরকারিকরণ না হয়, ততদিন তো এমপিও নীতিমালার আলোকে বেসরকারি শিক্ষকদের চাকুরি এবং বেসরকারি স্কুল-কলেজ নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হবে। তাই, এমপিও নীতিমালা নিয়ে এক আধটু চিন্তাভাবনা করতে হয় বৈকি।

এমপিও নীতিমালা সংশোধন কমিটির ১ম সভায় যে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে, তন্মধ্যে  প্রভাষকদের পদোন্নতি ও উচ্চতর স্কেল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনুপাত প্রথা এবং অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়। আমি সংশোধন কমিটির বিজ্ঞ সদস্যদের ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করতে চাইনা যে, তারা অতি মানবিক দৃষ্টিতে বিষয়গুলো তাদের আমলে নিয়েছেন। অনুপাত প্রথা বলে কিছু যেন না থাকে, সেটি আমরা চাই। নিজের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বলে প্রভাষকেরা পদোন্নতি পাবেন-সেটিই সহজ ও স্বাভাবিক কথা। অনুপাত প্রথার অজুহাতে কত যে অনিয়ম হয়ে থাকে, সে খবর কয়জন জানে? আগামী দিনে এর যেন কোন নামগন্ধ না থাকে। আশা করি সংশোধন কমিটি সে রকম একটা জোরালো সুপারিশ করবেন। অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকগণের এমপিওভুক্তির বিষয়ে যেন কেউ দ্বিমত পোষণ করার সুযোগ না পায়। এমপিও নীতিমালা সংশোধন কমিটির ২য় সভা আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানতে পেরেছি। তাই এ নিয়ে আরো সামান্য কিছু লেখার গরজ বোধ থেকে আজকের প্রয়াস।

সর্বপ্রথম আজ যে বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করতে চাই, সেটি হলো সহকারি গ্রন্থাগারিকদের টিচিং স্টাফের মর্যাদা প্রদান। এরা ১৬ হাজার টাকা স্কেলে বেতন ভাতার সরকারি অংশ পেয়ে থাকেন। গ্রন্থাগার পরিচালনা বাদেও প্রতিদিন ৩-৪ পিরিয়ড ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের পড়ান। তারপরও এরা কর্মচারী (?)। এটি আমার মোটেও বোধগম্য হয়না। এমপিও নীতিমালা সংশোধন কমিটিকে এ বিষয়ে একটু নজর দেবার অনুরোধ জানাই। এ বিষয়ে কিছু লেখার জন্য আমাকে অনেকে অনুরোধ করেছেন। একজন সহকারি শিক্ষকের প্রারম্ভিক বেতনস্কেল যেখানে ১২ হাজার টাকা, সেখানে সহকারি গ্রন্থাগারিকের ১৬ হাজার টাকা। তারা অনেকেই বিএ, এমএ পাস করে গ্রন্থাগারে ডিপ্লোমা করেছেন। তাই তাদের টিচিং স্টাফের মর্যাদা দিতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। বিষয়টি একান্ত মানবিক ও যুক্তি সঙ্গত। সহকারি গ্রন্থাগারিকদের শর্ত সাপেক্ষে এমপিওভুক্তিতে দৈনিক শিক্ষার ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ দিলে অন্যায় হবে। চিরকৃতজ্ঞ থাকতে হবে দৈনিক শিক্ষার প্রতি। 

আরেকটি বিষয়ে আলোকপাত করা একান্ত প্রয়োজন মনে করি। কোন নতুন স্কুল কিংবা কলেজ যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন যারা শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন তাদের অভিজ্ঞতার বিষয়টি আলাদা করে চিন্তা করা দরকার। কেননা, একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হবার পর পাঠ দানের অনুমতি ও স্বীকৃতি পেতে বেশ কয়েক বছর লেগে যায়। এরপর এমপিও'র মুখ দেখতে কুড়ি-পঁচিশ বছর লাগে। এতগুলো বছর যারা খেয়ে না খেয়ে শিক্ষকতা করেন, তাদের অনেকের কাঙ্খিত অভিজ্ঞতা থাকেনা। বেতন টেতন নেই বলে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকেরা এসব প্রতিষ্ঠানের ধারে কাছে আসে না। প্রতিষ্ঠান যখন এমপিওভুক্তির আওতায় আসে, তখন প্রতিষ্ঠাকালীন অনেক নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক  অভিজ্ঞতার অভাবে ছিঁটকে পড়েন। বিশেষ করে অভিজ্ঞতার বিষয়টি নতুন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভেবে দেখা দরকার। কেননা,  নব প্রতিষ্ঠিত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ পূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে শিক্ষকতা করতে আসে না। এক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত হবার আগের বছরগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের অভিজ্ঞতার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। প্রতিষ্ঠাকালীন অনেকের বিধিমত নিয়োগ থাকেনা। অনেকের নিবন্ধন থাকেনা। তাই নতুন প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির সময় এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষকদের নিয়োগ বৈধকরণের সুযোগ রাখা দরকার। তাদের এমপিওভুক্তির দুই বছর কিংবা তিন বছরের মধ্যে নিবন্ধন পরীক্ষা পাসের শর্ত দেয়া যেতে পারে। অন্যথায় যারা খেয়ে না খেয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন, তাদের অনেকে এমপিওভুক্তির সময় এক বুক হতাশা নিয়ে শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানতে বাধ্য হন। এ আমাদের কারো কাম্য হওয়া উচিত নয়। অধিকন্তু, আগত দিনগুলোতে কেউ আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন করে প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগি হবে না। এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে কেউ কোনদিন শিক্ষকতা করতে আসবে। এক সময় শিক্ষার দ্বার এভাবে রুদ্ধ হতে থাকবে।

 এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসিক বেতন ভাতার সরকারি অংশ কিংবা এমপিও কখন ছাড়ে বা না ছাড়ে এ নিয়ে আরেক জ্বালা। দেশে সবকিছু ডিজিটাল হয়েছে। কেবল এ জায়গাটায় আজ পর্যন্ত ডিজিটালের ছোঁয়া লাগেনি। মাউশি থেকে যেদিন বেতন ভাতার চেক ছাড় দেয়া হয়, তার কম করে ১০-১৫ দিন পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক প্রাপ্তি স্বীকার করে। তারপর ব্যাংক বিল জমা নেয়। এখানেও ব্যাংকের নানা গড়িমসি থাকে। শিক্ষকের হাতে টাকা আসতে মাসের প্রায় অর্ধেক শেষ হয়ে যায়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে মাউশি একদিনের মধ্যে সব ব্যাংকে বেতনের টাকা পাঠিয়ে দিতে পারে। পরের দিন বিল জমা দিয়ে শিক্ষকগণ বেতন উঠিয়ে নিতে পারেন। বর্তমান সময়ে এ কোন অসম্ভব কিংবা কঠিন কাজ নয়। বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ রইল। এ কাজটি করলে সারা দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীগণ বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন। এমপিও নীতিমালায় এমপিও ছাড় এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার সরকারি অংশের টাকা প্রাপ্তিতে দ্রুততার বিষয়টি নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

ভৌগলিক দূরত্ব ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্যতার শর্ত আরেকটু শিথিল করা প্রয়োজন। বিশেষ করে গ্রাম, হাওর-বাওর এবং পার্বত্য ও প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে যাতায়াতের ভাল সুযোগ সুবিধা এবং ঘন বসতি নেই, সেখানে নিম্ন মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ২ কিলোমিটার, মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ৩ কিলোমিটার এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ৪ কিলোমিটার রাখা যেতে পারে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়/কলেজের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা ৭৫ হাজার এর পরিবর্তে ৫০ হাজার নির্ধারণ করা সমীচিন হবে বলে অনেকে মনে করেন। কাম্য শিক্ষার্থীর বেলায় মফঃস্বল এলাকার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণিতে ন্যূনতম শিক্ষার্থী ৭৫ জন বা তারচে' কিছু কম হলেও বিবেচনা করা দরকার। এ ক্ষেত্রে উক্তরূপ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক শাখা এমপিওভুক্ত হলে উচ্চ মাধ্যমিক শাখার শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার ফলাফলের দু'টি শর্তই শিথিল করে হলেও উচ্চ মাধ্যমিক শাখার এমপিও দিয়ে দেয়া যুক্তিসঙ্গত হবে।

মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হলে এবং কর্মরত প্রধান শিক্ষকের কাঙ্খিত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে তার প্রধান শিক্ষক পদের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে তাকে অধ্যক্ষ পদে উন্নীত করে ৪৩ হাজার টাকা স্কেলে বেতন ভাতা দেয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক হিসেবে ন্যূনতম ৫ বছরের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষকতার ১২ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া যায়।  দাখিল মাদরাসা ফাযিল মাদরাসায় উন্নীত হয়ে এমপিওভুক্ত হলে উক্ত দাখিল মাদরাসার কর্মরত সুপার ৫ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে অধ্যক্ষ পদে উন্নীত হতে পারেন। তাহলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাঙ্খিত শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অধ্যক্ষ হতে পারবেন না কেন? এ বিষয়টি বিবেচনা করা অপরিহার্য বলে মনে করি।

কয়েক বছর জমিয়ে না রেখে বছর বছর যোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও দিয়ে দেয়া দরকার। স্কুল-কলেজ সরকারিকরণের জন্য এমপিওভুক্তি একটি শর্ত হতে পারে। যে কোন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ৫ বছরের মধ্যে সরকারিকরণ করার একটি বিধান করা উচিত। সরকারিকরণের একটি উপযুক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি। 

লেখক : অধ্যক্ষ, চরিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কানাইঘাট, সিলেট এবং দৈনিক শিক্ষার নিজস্ব সংবাদ বিশ্লেষক।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029709339141846