কমিটির দ্বন্দ্বে তিন মাস বেতন পাননি ৫২ শিক্ষক

রংপুর প্রতিনিধি |

এডহক কমিটির দ্বন্দ্বের কারণে তিন মাস যাবৎ বেতনভাতা পাচ্ছেন না রংপুর নগরীর রাধাকৃষ্ণপুর অনার্স কলেজের ৫২ শিক্ষক-কর্মচারী। আর এজন্য কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দায়ী করেছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে ওই কলেজে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা বিভাগ। তবে কলেজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ৫ সদস্যের কমিটির চারজনই এখনও নির্ধারিত হয়নি। আর এডহক কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। 

কলেজ সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজ পরিচালনা করে আসছেন দেলওয়ার হোসেন। আর এডহক কমিটি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ওই কলেজের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় আফজাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

জানা যায়, অনুমোদিত এডহক কমিটিতে জেলা প্রশাসক সভাপতি ও কলেজের অধ্যক্ষ সচিব (পদাধিকার বলে) এবং একজন দাতা সদস্য, একজন বিদ্যোৎসাহী ও একজন শিক্ষক প্রতিনিধি থাকার কথা।

কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন কমিটি গঠনে আন্তরিক না।

 জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে কমিটির বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মৌখিকভাবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডাকা হলেও তিনি আসেননি।

  নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক শিক্ষক বলেন, এডহক কমিটির সভাপতি নিয়ে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমান ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন একমত হলেও কমিটির সচিব কে হবেন তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।

ওই শিক্ষক জানান, মশিয়ার রহমান দীর্ঘ তিনবছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন। তিনি এ এডহক কমিটির সুযোগে ছিলেন। তিনি তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার ও কমিটির সচিব হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলওয়াার হোসেন তার পদ ছাড়তে চাইছেন না। তারা দুজনই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) দেলওয়ার হোসেন বলেন, আমরা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু মামলা সংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে খুব দ্রুতই কমিটির বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) রুহুল আমীন মিঞা বলেন, গত সপ্তাহে কমিটির বিষয়ে আলোচনার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেননি। কলেজে দুটি পক্ষ আছে। আগামী সপ্তাহে দাপ্তরিকভাবে তাদেরকে ডাকা হবে। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024690628051758