কানহাইয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দিল্লির

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ভারতের বামপন্থী নেতা কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে দিল্লি সরকার। প্রায় এক বছর ধরে এই সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার।

২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা আফজাল গুরুর ফাঁসি কার্যকর হয়। এর চার বছরপূর্তি উপলক্ষে গত বছর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা থেকেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার স্লোগান উঠেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সভার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার, সঙ্গে ছিলেন ছাত্রনেতা উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। পরে এই তিন সাবেক ছাত্রনেতাসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।

ভারতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা চালাতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়। আর সেখানেই এতদিন ধরে আটকে ছিল কানহাইয়ার নামে মামলাটি।

বিজেপির অভিযোগ, এই সাবেক ছাত্রনেতাকে বাঁচাতেই অনুমতি দিচ্ছিলেন না আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একারণে মামলার চার্জশিট দাখিল হলেও শুনানি এগোয়নি। এএপি সরকারের অনুমতি না মেলায় পরে সেই চার্জশিটও খারিজ করে দেন আদালত।

সপ্তাহখানেক আগে সরকারের কাছে আবারও মামলার অনুমতি চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। এছাড়া সবশেষ পরিস্থিতি জানতে শুক্রবার আদালতে ডাকা হয়েছিল দিল্লি পুলিশকে। সেখানে তারা কেজরিওয়াল সরকারের গা ছাড়া মনোভাবের বিষয়ে অভিযোগ করে। এর পরপরই কানহাইয়ার বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় দিল্লি সরকার।

এদিকে, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কানহাইয়া কুমার। কিছুদিন পরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে তিনি বেগুসরাই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একারণে নির্বাচনের আগেই তাকে টার্গেট করা হচ্ছে বলে দাবি এ সাবেক ছাত্রনেতার।

এছাড়া, সরকার রাজনৈতিক খেলা খেলতে রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনের অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। উদাহরণস্বরূপ দেবেন্দর সিংয়ের প্রসঙ্গ তোলেন এ বামপন্থী নেতা। গত মাসে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে তিন জঙ্গিসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। অথচ তার বিরুদ্ধে এখনও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করেনি পুলিশ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003371000289917