পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে আগুনে পুড়ে নার্সারি শ্রেণির অন্তত ২০ শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার সময় এই শিশুরা স্কুলে খড়ের তৈরি ক্লাসরুমে আটকা পড়েছিল। দেশটির রাজধানী নিয়ামির পার্শ্ববর্তী এক অস্বচ্ছল এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স ও এএফপির।
নাইজার ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কোলোনেল বোকো বউবাকার আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি। তবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, নিহত লোকজনের মধ্যে বেশির ভাগই ছোট্ট শিশু।
নাইজারের শিক্ষক ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘স্কুলটি জনপ্রিয় পেইজ বাস এলাকার পাশেই। এখানে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।’
মউনকালিয়ি হালিদো নামের আরেক ফায়ারকর্মীর ভাষ্য, ‘প্রথমে স্কুলের ফটকে আগুন ধরে। স্কুলে জরুরি বহির্গমন ফটক না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী আটকা পড়ে। তারা বাধ্য হয়ে স্কুলের দেয়াল টপকে প্রাণে বাঁচে। যারা মারা গেছে তাদের বেশির ভাগই প্রি-স্কুলের শিক্ষার্থী।’
ফায়ার সার্ভিস কমান্ডার সিদি মোহাম্মদ এএফপিকে বলেন, ‘খড়ের তৈরি ২১টি শ্রেণিকক্ষে আগুন ধরে যায়। এতে প্রায় ২০টি শিশু আটকা পড়ে মারা যায়। উদ্ধারকর্মীরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে...কিন্তু আগুনের তীব্রতা ছিল ভয়াবহ। তাই শিশুরা পালাতে পারেনি।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নাইজারের রাষ্ট্রিয় টেলিভিশনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে আগেন লাগে। তখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ছিল। প্রধানমন্ত্রী উহোমৌদৌ মাহামাদু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হতাহত শিশুদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘের ১৮৯টি দেশের মানব উন্নয়ন সূচকে নাইজার হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। দেশটিতে স্কুলে ক্লাসরুম হিসেবে হাজার হাজার খড়ের ঘর তৈরি করা হয়। অনেক জায়গায় শিক্ষার্থীদের মাটিতে বসে ক্লাস করতে হয়।