দৈনিক শিক্ষাডটকম, নওগাঁ : সারা দেশে গতবছর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এই কারিকুলাম বাস্তবায়ন করতে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষকের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। নতুন এই কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সকল শিক্ষকের সমন্বয়ে ক্লাস রুটিন করতো। কিন্তু নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের সাথে সাথেই অধিদপ্তর থেকে ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রুটিন অনুযায়ী ক্লাস পরিচালনা করতে গিয়ে পাঁচ বিষয়ের শিক্ষকরা হিমশিম খাচ্ছেন। তারা বলছেন, অতিরিক্ত ক্লাসের শিখন ঘন্টা সমন্বয় করা হোক বা এই বিষয়ের বিষয়ভিত্তিক দুজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হোক।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের রুটিন থেকে জানা যায়, সপ্তাহে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা বিষয়ের ক্লাস রয়েছে ১৬টি, ইংরেজি বিষয়ে ১৭টি, গণিতের ১৭টি, বিজ্ঞানের ১৭টি, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের ১৭টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির ৯টি, জীবন ও জীবিকার ৮টি, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ৮টি, শিল্প ও সংস্কৃতির ৭টি এবং ধর্মের ৭টি। এরমধ্যে বুধবার দিনে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ধর্ম শিক্ষা বিষয়ের কোনো ক্লাস নেই। এছাড়াও দশম শ্রেণির ক্লাস নেয়ার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রুটিনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর উপজেলার জোয়ানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান) তাপস কুমার হাজরা ও পোরশা উপজেলার গাঙ্গরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মো. ইসমাইল হোসেন, সুবরাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) মো. আবু সায়েমসহ আরো অনেকে বলেন, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক হিসাবে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের ক্লাস নেয়ার রুটিন করে দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। এ রুটিন অনুযায়ী আমাদেরসহ পাঁচটি বিষয়ের শিক্ষকদের সপ্তাহে ১৬টি থেকে ১৭টি করে ক্লাস নেয়া লাগছে।
এছাড়াও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক হিসাবে দশম শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে আরো পাঁচটি নিতে হয়। এই রুটিনের মাঝে যে ঘন্টা ফ্রী রয়েছে, সেই ঘন্টায় আবারো দশম শ্রেণির ক্লাস দেয়া হয়েছে। পর পর ক্লাস থাকার কারণে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই পাঠদান করতে হচ্ছে। এতে করে কিছুটা হলেও নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও বাকি পাঁচটি বিষয়ের শিক্ষকদের সপ্তাহে ক্লাস রয়েছে ৭টি থেকে ৯টি করে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, অতিরিক্ত ক্লাস দেয়া এই বিষয়গুলোর জন্য বিষয়ভিত্তিক দুজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হোক। তা নাহলে শিখন ঘন্টার সমন্বয় করা হোক।