খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব

খুবি প্রতিনিধি |

চারদিকে শীতের পিঠার মৌ মৌ গন্ধ। এমন মিষ্টি-মধুর পরিবেশে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের হাজার হাজার ছাত্রী-শিক্ষক যোগ দিয়েছেন পিঠা খাওয়ার উৎসবে। যান্ত্রিক নগর জীবনে পিঠাপুলির স্বাদ নিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শনিবার (১১ জানুয়ারি) কলেজ ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ।

পিঠা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসের টি এম জাকির হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সমীর রঞ্জন সরকার, উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী প্রফেসার মো. শাহজালাল, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক খান আহমেদুল কবীর চায়নীজসহ অন্য শিক্ষকরা।

উৎসবে পিঠার স্টলগুলো পরিদর্শন করেছেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ-গান পরিবেশন করেছেন খুলনার আঞ্চলিক গানের সম্রাট গুরুপদ গুপ্তসহ কলেজের ছাত্রীরা। এদিন কেউ পিঠা খাওয়ায়, কেউ দেখায়, আবার কেউ ব্যস্ত ছিলেন ছবি তোলায়। 

সরেজমিনে দেখা যায়, হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে স্টল দিয়ে বসেছেন কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। উৎসবের শুরু থেকেই ভিড় করেছেন তরুণীরা। কত বাহারি নামের পিঠাপুলি যে সাজানো! বাড়িতে এত সব পিঠা একসঙ্গে তৈরি করা সম্ভব হয় না, কিংবা ব্যস্ততার কারণেও হয়ে ওঠে না। এ কারণে উৎসব থেকে পিঠা বাসায় নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেককেই।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিকাশ রায় বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে নিজস্ব খাদ্যাভ্যাস, যার একটি স্বতন্ত্র অনুষঙ্গ পিঠাপুলি। শীতের দিনে দেশের নানা অঞ্চলে পিঠা তৈরি করা আমাদের দেশের ঐতিহ্য। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের কারণে এখন অনেকেই তা আর করতে পারেন না। একারণে পিঠা উৎসবে এসে তারা পিঠার স্বাদও নিতে পারছেন, আবার বিভিন্ন পিঠার সঙ্গে পরিচিতও হতে পারছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসের টি এম জাকির বলেন, কালের বিবর্তনে পিঠার ঐতিহ্য ম্লান হয়ে আসছে। একসময় শুধু গ্রামের মানুষই পিঠা খেতো। শহুরে ব্যস্ততার কারণে পিঠার স্বাদ নিতে নগরজীবীদের কেউ গ্রামে গিয়ে পিঠা খেয়ে আসতো অথবা গ্রাম থেকে শহরে বসবাসকারী প্রিয়জনদের জন্য পিঠা তৈরি করে পাঠাতো স্বজনেরা। গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য পিঠাপুলিকে শহরবাসীর কাছে পরিচিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পিঠা উৎসবে সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি ও মায়েদের একটিসহ বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রীদের মোট ২১টি স্টল রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023818016052246