গর্ভপাতে বাধ্য করার অভিযোগ শিক্ষার্থীর

রংপুর প্রতিনিধি |

রংপুর মহানগরীর গংঙ্গাচড়া উপজেলায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গর্ভপাতের ভ্রূণ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন কলেজছাত্রী। তার অভিযোগ, প্রেমিক তাকে কৌশলে গর্ভপাত করানোর কারণে বাধ্য হয়ে থানায় এসেছেন। ওই ছাত্রী বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে মামলা করেন।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। উপজেলার ঘাঘটটারী ভাংনী এলাকার বিশাদ আলীর ছেলে জনির সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে জনি তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। ফলে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। নিরুপায় হয়ে মেয়েটি তার প্রেমিককে বিষয়টি জানিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু প্রেমিক বিভিন্নভাবে টালবাহনা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন।

ছাত্রী অভিযোগ করেন, জনি আমাকে বিয়ের কথা বলে শারীরিক সর্ম্পক গড়ে তোলেন। আমার গর্ভে সন্তান এলে জনিকে বিষয়টি জানাই। জনি গর্ভের সন্তান নষ্ট করে বিয়ের কথা বললে আমি তার কথায় রাজি না হয়ে বিয়ের জন্য চাপ দেই। এভাবে বিয়ে করার টালবাহনায় আমার গর্ভের সন্তানের বয়স চার মাস হলে জনি হঠাৎ ঢাকায় পালিয়ে যান। ঢাকায় মোবাইলে জনির সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে আজকাল করে দুই মাসেরও বেশি সময় পার করেন এবং আমার গর্ভের সন্তানের বয়সও ছয় মাস পার হয়।

ওই ছাত্রী আরো জানান, গত সোমবার বিকেলে রংপুর শহরের ক্লিনিকে কর্মরত জনির বন্ধু শিমুল আমার কাছে এসে জনির সঙ্গে বিয়ের কথা বলে আমাকে  শহরে নিয়ে যান। সেখানে শিমুল তার কর্মরত ক্লিনিকে বসায় এবং বলেন, জনি ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েছে তোমাকে এখানে অপেক্ষা করতে বলেছে। আমি তার কথায় বিশ্বাস করে অপেক্ষা করতে থাকি। অপেক্ষার একপার্যায় শিমুল জনির কথামত কৌশলে খাবারের সঙ্গে ওষুধ খাওয়ালে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। পরের দিন সকালে (মঙ্গলবার) আমার গর্ভপাত হয়ে আমার সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। আমি উপায় না পেয়ে ওই নষ্ট সন্তানকে কৌশলে ব্যাগে ভরে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে বুধবার থানায় আসি জনি ও তার বন্ধু শিমুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গঙ্গাচড়া থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, মেয়েটি গর্ভপাত ঘটানো ভ্রূণটি নিয়ে থানায় এসেছেন। মেয়েটি নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার রাত থেকে আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চালছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023248195648193