চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১ স্নাতক (সম্মান) কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে পৃথকভাবে নির্দেশনামূলক মতবিনিময় করেছেন। এ সময় ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন দিকনির্দেশনা নিয়ে বক্তব্য দেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটি-২০১৮ এর সভাপতি এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ সময় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, একটি সফল ও সুন্দর ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে চুয়েট প্রশাসন সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সরকারের সব সেবাপ্রদানকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সম্পন্ন করেছি। চুয়েটের ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সাথেও মতবিনিময় করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরণের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
চুয়েট উপাচার্য আরো বলেন, চুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সারাদেশে একটি সুনাম রয়েছ। আমরা সেই সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে চুয়েট পরিবারের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আশা করছি সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা নিবিঘ্নে ও সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবো।
উল্লেখ্য, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১১ টি উপজাতি কোটাসহ মোট ৮৪১ আসনে (নিয়মিত আসন ৮৩০ টি) বিপরীতে মোট ৮ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। চুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা ও মুক্তহস্ত অংকন দুই পর্বে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রথম পর্বে ‘ক’ এবং ‘খ’ উভয় গ্রুপের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত (সময় ৩ ঘণ্টা) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শুধুমাত্র ‘খ’ গ্রুপের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বিকাল ২.৩০ টা থেকে ৪.৩০ টা পর্যন্ত (সময় ২ ঘণ্টা) মুক্তহস্ত অংকন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, ইঞ্জিনিয়ার বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ নিয়ে ‘ক’ গ্রুপ। অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ নিয়ে ‘খ’ গ্রুপ। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস এবং অংশগ্রহণের নির্দেশনা, নিয়মাবলী ও ফলাফলসহ যাবতীয় তথ্য চুয়েটের ওয়েবসাইটে (http://www.cuet.ac.bd/admission অথবা http://student.cuet.ac.bd/admission2018) পাওয়া যাবে।
ভর্তির জন্য নির্ধারিত বিভাগ ও আসন সংখ্যা:
বর্ধিত আসনসহ বিভাগসমূহ হচ্ছে- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (১৩০ টি আসন), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (১৮০ আসন), কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (১৩০ আসন), ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (১৮০ আসন), ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (৬০ আসন), পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (৩০ আসন), ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং (৩০ আসন), মেকাট্রনিক্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং (৩০ আসন), আর্কিটেকচার (৩০ আসন), আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং (৩০ আসন)। অর্থাৎ ভর্তিকৃত ১০টি বিষয়ে সর্বমোট নিয়মিত আসন ৮৩০টি। এছাড়া রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য ০১টি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য জেলার উপজাতীয়দের জন্য ১০টি সহ অতিরিক্ত ১১টি আসন সংরক্ষিত আছে।
