ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির দায়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশাল প্রতিনিধি |

ছাত্রীর ওড়না ধরে ‘টানাটানি’ করার ঘটনায় বরিশালে নার্সিং ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর স্বামী। আদালতের বিচারক আনিছুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য কোতয়ালী মডেল থার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মিজানুর রহমান সজল। তিনি পটুয়াখালীর ডিডব্লিউএফ এবং বরিশালের জমজম ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষক।

অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান সজল। ছবি : সংগৃহীত

জানা গেছে, পটুয়াখালী ডিডব্লিউএফ ও বরিশাল জমজম ইনস্টিটিউটে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্ন ছাত্রীদের পরীক্ষায় অকৃতকার্য করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এ ধরনের নানা অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশাল জমজম ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ তাকে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চাকুরিচুত্যও করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান একছাত্রীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরেও যৌন হয়রানি শুরু করেন। তার ইভটিজিংয়ের শিকার হন একই কলেজের আরো দুই ছাত্রী। কোন কোন ছাত্রীকে তিনি কুয়াকাটা নিয়ে ‘মহুয়া’ (রাখাইন পল্লীতে প্রস্তুতকৃত এক ধরণের মদ) খাওয়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন। যা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা তাকে ‘মহুয়া সজল’ হিসেবে ডাকতো।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ আগস্ট শিক্ষক মিজানুর রহমান সজল ওরফে মহুয়া সজল নগরীর গোরস্থান রোড এলাকায় সেই ছাত্রীকে একা পেয়ে আপত্তিকর কথা বলেন এবং তার সাথে যেতে ওড়না ধরে ‘টানাটানি’ করেন।

বিষয়টি কারও কাছে জানালে তাকে পরীক্ষায় ফেল করাবে এবং ছবি এডিট করে অশ্লিল ছবির সাথে সংযুক্ত করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে বলে হুমকি দেয় এমনকি যেখানে পাবে সেখানে ধর্ষণ করবে বলেও জানায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন সেই ছাত্রীর স্বামী।

প্রসঙ্গত, ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান সজলকে একবার কান ধরিয়ে ওঠবস করিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029950141906738