ফেনীর দাগনভূঞা গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবক লিখিতভাবে অভিযোগে করেছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে তাদের ১২ বছরের শিশু সন্তান অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ওই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থী ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে প্রধান শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীর মা দাগনভূঞা থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, আবদুল করিম (৫৫) নামের ওই প্রধান শিক্ষক নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। বর্তমানে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন, মেয়ের পেটে পাথর হয়েছে কিংবা পাকস্থলির অন্য কোনও সমস্যা। তবে গত মাসে তারা এক চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, তাদের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা।
দাগনভূঞা থানার ওসি ছালেহ আহমেদ পাঠান বলেন, ‘শিক্ষাথীর অভিভাবকরা ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার পরই অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল করিমকে আটক করা হয়েছে।’
স্থানীয় জয়লস্কর ইউপির চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন জানান, গত কিছুদিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেনি। স্থানীয় গ্রাম ডাক্তারের চিকিৎসায় কোনও কাজ না হওয়ায় সম্প্রতি তাকে নেওয়া হয় ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ধরা পড়ে শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি। পরবর্তী সময়ে বাড়ি ফেরার পর স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ঘটানাটির সঙ্গে জড়িত বলে জানায় ওই শিক্ষার্থী। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টাও করে এলাকার কেউ কেউ। পরে বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত জানাজানি হয়।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার পিপিএম বলেন, শিশুটির অন্তঃসত্ত্বা বিষয় নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের পরামর্শে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে এই ঘটনায় দ্রুত মামলা নিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।