ছাত্র বাদল হত্যায় দু’জনের ফাঁসির আদেশ বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক |

২০ বছর আগে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার স্কুলছাত্র বাদল হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। 

তবে চার আসামির মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দু’জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


 
এ বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (এপ্রিল ১৮) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। এক আসামির পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ রেজাউল কবির খান। পলাতকদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন শফিকুল ইসলাম।
 
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত দু’জনের দণ্ড বহাল রেখে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দু’জনকে খালাস দিয়েছেন। আসামি চারজনের মধ্যে তিনজন পলাতক। বাকি একজন জামিনে ছিলেন।
 
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৯ মার্চ বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ এস এম সোলায়মান ওই রায় ঘোষণা করেন।
 
রায়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া গ্রামের মৃত মতু হাওলাদারের ছেলে ফুল মিয়া হাওলাদার ও একই গ্রামের মফেজ মল্লিকের ছেলে শহিদুল মল্লিককে ফাঁসির দণ্ড দেন।
 
যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয় বহরবুনিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে হাওলাদার মনিরুজ্জামান ওরফে মনিরুল ও মৃত আবদুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে আলী আকবর হাওলাদারকে। এর মধ্যে জামিনে থাকা মনিরুজ্জামান ছাড়া বাকিরা পলাতক।
 
আদালত সূত্র জানায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া গ্রামে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে আসামি ফুলমিয়া হাওলাদারসহ দু’তিনজন দুর্বৃত্ত প্রতিবেশী এলাল উদ্দিনের বাড়িতে যান। এ সময় আসামি ফুল মিয়া এলাল উদ্দিনের স্কুলপড়ুয়া ছেলে বাদলের ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। ধস্তাধস্তির শব্দ পেয়ে নিহতের বাবা এলাল ও তার মা তানজিরা বেগমের ঘুম ভেঙে যায়। এরপর বাদলের ঘরে গিয়ে খাটের ওপর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
 
আসামি ফুল মিয়ার সঙ্গে এলাল উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন বিকেলে এলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ফুল মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ মার্চ ফুল মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
 
পরে মামলার বিচার শেষে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
 
নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে এক আসামি ফৌজদারি আপিল করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025618076324463