জরিমানা ছাড়া এসএসসি-দাখিলের ফরম পূরণ ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

আগামী বছরের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ চলছে। অনলাইনে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। জরিমানা বা বিলম্ব ফি ছাড়া আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণের ফি জমা দেয়া যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফরম পূরণের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে ইতোমধ্যে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। 

এসএসসির ফরম পূরণ :

ঢাকা বোর্ড থেকে জারি করা এসএসসির ফরম পূরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তথ্য সংবলিত সম্ভাব্য তালিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সম্ভাব্য তালিকা থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফি জমা দেয়ার সময় ৫ জানুয়ারি শেষ হবে। আর  ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ৭ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এসএসসির ফরম পূরণ করা যাবে।  ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসির ফরমপূরণ বাবদ সর্বোচ্চ ২ হাজার ১৪০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০ টাকা এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০ টাকা ফি নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এ ফিয়ের মধ্যে ব্যবহারিক ফিসহ কেন্দ্র ফি অন্তর্ভুক্ত বলেও জানিয়েছে বোর্ড।

এসএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্র প্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্র প্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা অনুমতি বা তালিকাভুক্তি ফি দিতে হবে। 

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ওইএমএস/ইএফএফ অংশে ক্লিক করে ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা যাবে। লগইন করে শিক্ষার্থীদের সম্ভাব্য তালিকা ডাউনলোড করে তা প্রিন্ট করে লালকালি ব্যবহার করে টিক চিহ্ন দিয়ে পরীক্ষার্থী নির্ধারণ করতে হবে। এরপর ওয়েবসাইটের সম্ভাব্য তালিকা থেকে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। এরপর টেম্পোরারি লিস্ট ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। এরপর পে স্লিপ প্রিন্ট করতে হবে। পে স্লিপ প্রিন্ট করলে শিক্ষার্থীদের সিলেক্ট আনসিলেক্ট করা যাবে না। ফিয়ের টাকা ব্যাকে জমা দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফাইনাল ক্যান্ডিডেট লিস্ট প্রিন্ট করা যাবে। ফাইনাল ক্যান্ডিডেট লিস্টে পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর নিতে হবে ও প্রতি পৃষ্ঠায় প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর করতে হবে। পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংবলিত প্রিন্ট কপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে। 

দাখিলের ফরম পূরণ : 

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে জারি করা দাখিলের ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তথ্য সংবলিত সম্ভাব্য তালিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সম্ভাব্য তালিকা থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবেন দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফি জমা দেয়ার সময় ৫ জানুয়ারি শেষ হবে। ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ৭ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করা যাবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের ফি জমা দেয়া যাবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে বলা হয়েছে।  

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দাখিলের ফরমপূরণ বাবদ সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৫ টাকা। আর সাধারণ, মুজাব্বিদ ও হিফজুল কুরআন বিভাগের পরীক্ষার্থীদের জন্য মোট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২৫ টাকা। এ ফিয়ের মধ্যে ব্যবহারিক ফিসহ কেন্দ্র ফি অন্তর্ভুক্ত বলেও জানিয়েছে বোর্ড।

দাখিল পরীক্ষার ফি বাবদ পত্র প্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্র প্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা অনুমতি বা তালিকাভুক্তি ফি দিতে হবে। 

জানা গেছে, মাদরাসাগুলোকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ইএফএফ অংশে ক্লিক করে ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে হবে। লগইন করে শিক্ষার্থীদের সম্ভাব্য তালিকা ডাউনলোড করে তা প্রিন্ট করে লালকালি ব্যবহার করে টিক চিহ্ন দিয়ে পরীক্ষার্থী নির্ধারণ করতে হবে। এরপর ওয়েবসাইটের সম্ভাব্য তালিকা থেকে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। এরপর টেম্পোরারি লিস্ট ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। এরপর টিটি স্লিপ প্রিন্ট করতে হবে। টিটি স্লিপ প্রিন্ট করলে শিক্ষার্থীদের সিলেক্ট আনসিলেক্ট করা যাবে না। ফিয়ের টাকা ব্যাকে জমা দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফাইনাল ক্যান্ডিডেট লিস্ট প্রিন্ট করা যাবে। ফাইনাল ক্যান্ডিডেট লিস্টে পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর নিতে হবে ও প্রতি পৃষ্ঠায় মাদরাসা প্রধানের স্বাক্ষর করতে হবে। পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংবলিত প্রিন্ট কপি মাদরাসায় সংরক্ষণ করতে হবে।  

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল    SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041780471801758